চায় সুট্টা বার
দোকানের নাম ‘চায় সুট্টা বার' হলেও দোকানের ভেতর ধূমপানের অনুমতি নেই। অন্যান্য সাধারণ চায়ের দোকানের থেকে অনেকটাই আলাদা এই চায়ের দোকান, এই তিন বন্ধু তাঁদের চায়ের দোকানে বিভিন্ন স্বাদের চা বিক্রি করেন মাত্র ১০ টাকায়। চা-এর পাশাপাশি তাঁরা স্যান্ডউইচ, পাস্তা, ম্যাগি ইত্যাদিও বিক্রি করেন।
২০১৬ সালে প্রথম খোলা হয় এই দোকান
২০১৬ সালে এই তিন বন্ধু তাঁদের প্রথম চায়ের দোকান খোলেন ইন্দোরে, ৩ লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে আর এখন এটা প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থায় পরিণত হয়েছে, এর সঙ্গে একাধিক শাখা ছড়িয়ে রয়েছে বিদেশে।
কুমোর পরিবারদের সাহায্য
শুধু তাই নয়, চায় সুট্টা বার ব্যাপকভাবে সাহায্য করে চলেছেন কুমোর পরিবারদের, যাঁরা মাটির কাপ বা ভাঁড় তৈরি করেন তাঁদের দোকানের আউটলেটের জন্য। ভাঁড়ে করেই চা সুট্টা বারে চা দেওয়া হয় ক্রেতাদের। ভারতের পশ্চিম, উত্তর এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে সুট্টা বারের মাধ্যমে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভাঁড়ের চা।
সাধারণ মানুষ টার্গেট
চায় সুট্টা বারের ডিরেক্টর আনন্দ নায়েক বলেন, ‘আমাদের সব আউটলেটেই ভাঁড়ে করে চা দেওয়া হয়। প্রত্যেকদিন আমাদের ৩ লক্ষ করে ভাঁড় ব্যবহার হয়। যা হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান প্রদান করে।' তিনি আরও জানিয়েছেন যে বছরে ১০০ কোটির ওপর লেনদেন হয় গোটা দেশজুড়ে এবং আমাদের নিজস্ব আউটলেটে আড়াই কোটি টাকার ওপর লেনদেন রয়েছে। চায় সুট্টা বারের প্রতিষ্ঠাতা অনুভব দুবে বলেন, ‘দেশের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের কাছে পরিষেবা দেওয়াই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। উচ্চবিত্তরা নন, সাধারণ মানুষই আমাদের গ্রাহক। চা পানের আনন্দের পাশাপাশি মানুষের কাছে দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য।'
কলকাতা ও খড়গপুরে আউটলেট
কলকাতাতেও রয়েছে ‘চায় সুট্টা বার'-এর শাখা। সল্টলেকের (সেক্টর ৫-এ, ডিএন-৫৩) নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেটের উদ্বোধন করেছিলেন অভিনেতা শক্তি কাপুর। এ বছরই নতুন আউটলেট খোলা হয়েছে কলকাতায়, যাতে এই শহরের বাসিন্দারাও বিভিন্ন স্বাদের চায়ের আস্বাদ নিতে পারেন। কলকাতার পাশাপাশি এ রাজ্যের খড়গপুরেও রয়েছে এঁদের আউটলেট।