পাপ্পু, ভেন্টিলেটর শব্দ চলবে না সংসদে, অসংসদীয় শব্দের তালিকা প্রকাশ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার

আজব নিয়ম জারি হল মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায়। বিধায়কদের মুখের ভাষাকে সংযত করতে বেশ কিছু শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল। আসলে সামনেই মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বাদল অধিবেশন রয়েছে, সেই বিষযটিকে মাথায় রেখে স্পিকার গিরিশ গৌতম একগুচ্ছ শব্দের তালিকা জারি করেছে, যেগুলি অসংসদীয় এবং সংসদের ভেতর এই ধরনের শব্দ ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

৩৮ পাতার বুকলেট

রাজ্য বিধানসভার পক্ষ থেকে রবিবারই ৩৮ পাতার বুকলেট প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রচুর অসংসদীয় শব্দ, বাক্যাংশ ও বাক্যের কথা উল্লেখ রয়েছে, এগুলির মধ্যে অধিকাংশই হিন্দি। এই সংগ্রহে রয়েছে ১,১৬১টি শব্দ ও বাক্য, যা ১৯৫৪ সালের বিধানসভার রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। বিধানসভা ভবনে রবিবার এই বুকলেট প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, রাজ্য কংগ্রেসের প্রধান কমল নাথ, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এবং বিধানসভার স্পিকার গিরিশ গৌতম। বিধানসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‌বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সোমবার এই বুকলেট বিধানসভার সদস্যদের দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা জানতে পারেন যে সংসদ কক্ষে কোন ভাষা প্রয়োগ করা উচিত।'‌

পাপ্পু ও মিস্টার বান্টাধর শব্দের ব্যবহার নয়

প্রায় ১৬০০ শব্দকে অসংসদীয় বলে স্বীকার করা হয়েছে এবং এই ভাষাগুলি সংসদ কক্ষে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তালিকা অনুযায়ী সদস্যরা ‘‌পাপ্পু'‌ এবং ‘‌মিস্টার বান্টাধর'‌ এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারবেন না। এখানে উল্লেখ্য নির্বাচনের সময় এই ভাষাগুলি বেশ জনপ্রিয় ছিল রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে। বিজেপি সমর্থকরা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বোঝানোর জন্য ‘‌পাপ্পু'‌ শব্দটি ব্যবহার করতেন অন্যদিকে ‘‌মিস্টার বান্টাধর'‌ বলতে বিজেপি বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা ও রাজ্য সভার সদস্য দিগ্বিজয় সিংকে কটাক্ষ করতেন।

অন্য যে ভাষার ওপর নিষেধাজ্ঞা

এর পাশাপাশি এই বুকলেটে একাধিক শব্দ ও বাক্যের তালিকা রয়েছে যেগুলি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢঙ্গি (‌ভণ্ড)‌, নিক্কমা (‌কোনও কাজের নয়), চোর, ভ্রষ্ট (‌দুর্নীতিপরায়ন)‌, তানাশা (একনায়ক)‌, গুণ্ডা এবং বাক্যাংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিথ্যা কথা বলা, ব্যাভিচারি করা সহ আরও কিছু বাক্যাংশ এগুলি একেবারেই ব্যববহার করা চলবে না। এখানেই শেষ নয়, শ্বশুর এই শব্দের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, এই শ্বশুর শব্দটি ১৯৫৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সংসদ কক্ষে ব্যবহৃত হয় এবং তা রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। তবে ‘‌ভেন্টিলেটর'‌ শব্দের ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

প্রশ্ন উঠছে ভেন্টিলেটর শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে

‘‌ভেন্টিলেটর'‌ শব্দের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কংগ্রেস জানিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভেন্টিলেটর নিয়ে বহু অভিযোগ এসেছে। অতএব সংসদে কোনও বিধায়ক যদি এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তবে তিনি কীভাবে তা বলবেন এই শব্দটির ওপরই যদি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। কংগ্রেস এও প্রশ্ন তুলেছেন যে ভেন্টিলেটরের বদলে বিকল্প কোন শব্দ তাঁরা ব্যবহার করতে পারবেন। যদিও স্পিকার এ বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি। ‌‌

বুকলেট নিয়ে কী বললেন মুখমন্ত্রী

রবিবার এই বুকলেট উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সংসদের বড় বড় বিতর্কের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘‌অনেকসময়ই দেখা গিয়েছে যে সংসদে বিধায়ক বক্তব্য করার সময় কথার প্রবাহে এমনভাবে ভেসে যান যে কোন শব্দ সংসদে ব্যবহার করা উচিত তা ভুলে যান এবং অসংসদীয় শব্দ বলে বসেন।'‌ তিনি বিধানসভার ভূয়সী প্রশংসা করে এই বুকলেট নিয়ে আসার জন্য। তিনি জানান যে এই বুকলেট সদস্যদের সঠিক ভাষা প্রয়োগ করার দিশা দেখাবে।

খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More MADHYA PRADESH News  

Read more about:
English summary
pappu ventilator word not allowed inside the house unparliamentary words list released madhya pradesh assembly