গেরুয়া শিবিরের ‘ভারত জড়ো আন্দোলনের’ মঞ্চে সাম্প্রদায়িক স্লোগান, দায়ের এফআইআর

অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে চাপৌনতর শুরু হয়েছে দীর্ঘদিন থেকেই। রবিবার দিল্লির যন্তরমন্তরে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির সমর্থনে এবং ঔপনিবেশিক আইনের বিরুদ্ধে একটি সভা হয়। 'ভারত জড়ো আন্দোলনের’ নামে ডাকা এই জনসভা। বর্তমানে ওই সভাকে ঘিরে বাড়ছে জটিলতা। অভিযোগ সভা চলাকালীন তোলা হয়েছে একাদিক সাম্প্রদায়িক স্লোগান। এমনকী সভার নাম নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

এফআইআর দায়ের দিল্লি পুলিশের

সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। এদিকে এই সভার আয়োজন করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাকে নিয়েও চলছে বিতর্ক। বর্তমানে তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক ত চললেও দিল্লি পুলিশের এফআইআর তার নাম নেই বলেই খবর। সাম্প্রদায়িক স্লোগান ছাড়াও পুলিশের অনুমতি না নিয়ে জমায়েত এবং কোভিড বিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ সামনে এসেছে। যা নিয়ে জোরদার চাপানৌতর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

ভারত জড়ো আন্দোলনের মঞ্চে সাম্প্রদায়িক স্লোগান

এদিকে ‘ভারত জড়ো আন্দোলনের' নামের এই সভার ভিডিয়ো টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করেছেন অশ্বিনী উপাধ্যায়। এদিকে এই সভার একটি ভিডিও ক্লিপ বর্তমানে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে একাধিক গেরুয়া শিবিরের সমর্থক ভিন্ন ভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। যার বেশিরভাগই ‘সাম্প্রদায়িক' বলে দাবি করা হয়েছে। এমনকী ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিয়োতে সংখ্যালঘু বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান শোনা যায় বলে অভিযোগ।

সওয়াল দিল্লি হাইকোর্টের

এদিকে দিল্লি মসনদে বসার পর থেকেই দেশজুড় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে কোমড় বেঁধে নামে মোদী সরকার। এই বিধির পক্ষে বিপক্ষে না না মতামত থাকলেও দিল্লির বর্তমান শাসক শিবির সর্বদা এর পক্ষেই থেকেছে। কিছুদিন আগেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির পক্ষে জোরদার সওয়াল করে দিল্লি আদালত। আর তাতেই নতুন করে অক্সিজেন পায় পদ্ম শিবির। দিল্লি হাইকোর্টের দাবি আধুনিক ভারতীয় সমাজ ক্রমশ ‘সমগোত্রীয়' হয়ে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় দেশে ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।

দায়ের একাধিক জনস্বার্থ মামলা

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেওয়ানি বিধির পক্ষের পক্ষে এর আগেও দেশজুড়ে দায়ের হয়েছে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। সম্প্রতি, মীনা সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে ১৯৫৫ সালের হিন্দু বিবাহ আইন কার্যকর হবে কিনা, সেই সংক্রান্ত মামলায় অভিন্ন দেওয়ানি বিধিকে সমর্থন করতে দেখা যায় দিল্লি হাইকোর্টকে। তারপর থেকে ইস্যুতে বারবার চাপানৌতর তৈরি হচ্ছে দেশজুড়ে।


খবরের ডেইলি ডোজ, কলকাতা, বাংলা, দেশ-বিদেশ, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা, ব্যবসা, জ্যোতিষ - সব আপডেট দেখুন বাংলায়। ডাউনলোড Bengali Oneindia

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More DELHI News  

Read more about:
English summary
communal slogan on the stage of bharat jaro andolan of gerua shibir fir filed