গ্রেফতার ও আক্রান্ত তৃণমূল যুবনেতাদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় অভিষেক, চ্যালেঞ্জ বিজেপিকে

ত্রিপুরায় তৃণমূল যুব নেতারা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা নিয়ে রবিবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। এই ঘটনায় দেবাংশুদের পাশে দাঁড়াতে সাতসকালই ত্রিপুরায় ছুটেছেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। তিনি সরাসরি আদালতে পৌঁছতে পারেন।

তৃণমূল যুব নেতারা আক্রান্ত হওয়ার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ত্রিপুরা যাবেন বলে টুইট করে জানিয়েছিলেন। এদিন সকালে আরও উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। রাতরভর তৃণমূল যুবনেতারা অবরুদ্ধ হয়ে রাস্তায় অবস্থান করেছেন। ভোররাতে পুলিশ উল্টে তৃণমূলের যুব নেতাদের গ্রেফতার করেছে মহামারী আইনে।

এই পরিস্থিতিতে সাত সকালেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পৌঁছে যায় ত্রিপুরায়। কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু ও দোলা সেনরা ছিলেন সেই প্রতিনিতি দলে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছন ত্রিপুরায়। তিনি বিমানবন্দরে নেমেই সটান যেতে পারেন থানায়। আর তার আগে দেবাংশু-সুদীপ-জয়াদের আদালতে পেশ করা হলে তিনি সরাসরি যেতে পারেন আদালতেও।

অভিষেক শনিবারই টুইটে লিখেছিলেন, বিজেপির গুন্ডাদের হাতে তৃণমূলকর্মীরা নৃশংসভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর এদিন আবার তাঁদের গ্রেফতার করা হল। অভিষেক তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই তড়িঘড়ি ত্রিপুরা পৌঁছলেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন বিপ্লব দেবকে। বলেন, যদি পারেন তো আমায় থামিয়ে দেখান।

অভিষেকের ত্রিপুরায় যাওয়ার কথা ছিল দু-সপ্তাহ পরে। কিন্তু দেবাংশু-সুদীপ-জয়াদের উপর নৃশংস হামলার পর তিনি কর্মসূচি বদল করলেন। এদিন সকালেই তিনি পৌঁছে গেলেন ত্রিপুরায়। বিকেল চারটেয় নাগাদ তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। অভিষেক বলেন, বিজেপির গুন্ডারা নিজেদের রূপ দেখাচ্ছে। বিপ্লব দেব সরকারের অধীনে ত্রিপুরায় গুন্ডারাজ চলছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল এবার।

অভিষেক বলেন, বিজেপি যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা অমানবিকতাই তুলে ধরে। যা করার করে নিন। আমরা এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। পিকের টিম ত্রিপুরায় সমীক্ষার জন্য পা দেওয়ার পর বিজেপির সরকার তাদের আটক করেছিলেন। তারপর থেকেই দেবাংশুরা ত্রিপুরায় ঘাঁটি গেড়েছে। তাঁরা তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কাজ করছেন। অভিযোগ, বিজেপি হামলা চালিয়ে তৃণমূলকে আটকানোর চেষ্টা করছে।

প্রশান্ত কিশোরের টিমের সদস্যদের ত্রিপুরায় পা রাখা থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। আগরতলার একটি হোটেলে আই প্যাকের ২৩ সদস্যদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়রা ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে। তাঁরা গিয়েই মুক্ত করেন পিকের সদস্যদের। এরপর যান অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের কনভয়ের উপরও হামলা হয়। তাঁর গাড়িতে লাঠিচার্জ হয়।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More ABHISHEK BANERJEE News  

Read more about:
English summary
Abhishek Banerjee reaches in Tripura to stand TMC’s arrested youth leader.