মাত্র ৬ টাকা...!
মাত্র ৬ টাকা, হ্যাঁ এই ভাড়াতেই রাত কাটানো যেত এই বিলাসবহুল হোটেলে। তবে সেটা ১০০ বছরেরও বেশি আগে। ১৯০৩ সালে এই হোটেলে থাকার খরচ ছিল ৬ টাকা। সম্প্রতি মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রা মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের একটি পুরনো বিজ্ঞাপন শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৬ টাকা থেকে শুরু হোটেলের ভাড়া। লেখা রয়েছে, সবরকম সুযোগ-সুবিধা মিলবে। বিজ্ঞাপনটি একটি সংবাদপত্রে বেরিয়েছিল। তারই অংশের ছবি পোস্ট করেছেন আনন্দ মহিন্দ্রা। নতুন করে তাজ খোলার সময় ওই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মহিন্দ্রার ওই টুইট রিটুইট করেছেন অনেকেই। শুক্রবার ওই টুইট করেন মহিন্দ্রা কর্তা। ৫০০ বার রিটুইট করা হয়েছে সেটি, লাইক করা হয়েছে ৬০০০ বার।
জামসেদজি টাটা এই হোটেলটি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন
ক্যাপশনে আনন্দ মহিন্দ্রা লিখেছেন, 'মূল্যবৃদ্ধি থেকে একটু মুক্তি পাওয়া যাক। টাইম মেশিনে ফিরে যান অনেক বছর আগে। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের ভাড়া তখন ৬ টাকা। এখন সে দিন চলে গিয়েছে।' তাজ হোটেল, রিসর্ট এবং প্যালেস গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই হোটেলে রয়েছে ৫৬০টি ঘর, রয়েছে ৪৪টি স্যুট আছে। ৩৫ জন খানসামা সহ অন্তত ১,৫০০ কর্মচারী আছে বলে জানা যায়। ঐতিহাসিক স্থাপত্য রয়েছে এই হোটেলে। এই হোটেলের মূল ভবনটি টাটারা তৈরি করেছিল, যেটি খোলা হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯০৩। যতদূর জানা যায়, জামসেদজি টাটা এই হোটেলটি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
প্রতি রাতের ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা
বর্তমানে এই হোটেলের লাক্সারি স্যুটের প্রতি রাতের ভাড়া ৭৫ হাজার টাকা। এর থেকেই বেশি ভাড়া টাটা স্যুটের। জানা যায়, কয়েক হাজার স্কোয়্যার ফুটের টাটা স্যুটের ভাড়া কয়েক লক্ষ টাকা। এই স্যুটে প্রথম এসে রাত কাটিয়েছিলেন প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও কার্লা ব্রুনি। তাঁরা এই স্যুটে এসেছিলেন ২০১০ সালে ভারত সফরের সময়। এরপর থেকে অনেক বিদেশি অতিথি এই স্যুটে থেকেছেন।
ভারতীয় স্থপতি ছিলেন সীতারাম
হোটেলটির নির্মাণ কাজে ভারতীয় স্থপতি ছিলেন সীতারাম খান্দেরাও বৈদ্য এবং দি. অন. মির্জা আর প্রকল্পটি সম্পন্ন করেছিলেন একজন ইংরেজ ইঞ্জিনিয়ার, ডাব্লু. এ. চেম্বার্স।