চোটে শঙ্কায় কেরিয়ার
চলতি টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়ার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের উত্থান শুরু হয়েছিল ২০১৭ সাল থেকে। ওই বছর ভুবনেশ্বরে হওয়া এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন ভারতের জ্যাভলিন থ্রোয়ার। এক বছর পর গোল্ড কোস্টে হওয়া কমনওয়েলথ গেমস ও জাকার্তায় হওয়া এশিয়ান গেমস থেকেও দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন চোপড়া। এরপরেই আচমকা নীরজের কেরিয়ারে তৈরি হয়েছিল আশঙ্কার কালো মেঘ। ডান হাতের কনুইতে চোট পেয়েছিলেন সোনাজয়ী অলিম্পিয়ান। পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর ছিল যে নীরজের বর্শা নিক্ষেপের ওপরই প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে যায়। সেই চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়ে দেশকে অলিম্পিকে গর্বিত করল নীরজের সোনার হাত। সেই হাত বাঁচিয়েছিলেন যে ডাক্তার, তাঁর পরিচয় জানা আছে কি?
মুম্বইয়ে অস্ত্রোপচার
ডান হাতের কনুইয়ে গুরুতর চোট পাওয়া নীরজ চোপড়ার কেরিয়ারের ওপর প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ সালে দোহায় হওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ওই চোটের কারণেই অংশ নিতে পারেননি ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার। নিজের ভবিষ্যত নিয়ে আশা-আশঙ্কার মধ্যে দেশের বিখ্যাত সার্জেন দিনশ পারদিওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ হয় নীরজের। ওই ডাক্তারই মুম্বইয়ের কোকলিবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে ভারতীয় অ্যাথলিটের হাতে অস্ত্রোপচার করেন। নীরজের ঐতিহাসিক সাফল্যের পর সেই প্রসঙ্গই ফের শোনা গিয়েছে দিনশ পারদিওয়ালার গলায়। জানিয়েছেন, নীরজের ডান হাতে কনুই লক হয়ে যাওয়ায় তা তিনি তা নাড়াতেই পারছিলেন না। এই অবস্থায় বর্শা নিক্ষেপ তো দূরের কথা, নীরজের হাতকে ফের স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনাটাই চ্যালেঞ্জের ছিল বলে জানিয়েছেন ওই সার্জেন। বলেছেন, সেই সময় জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল ২৩ বছরের অ্যাথলিটের হাতে।
অস্ত্রোপচার সফল
দুই বছর আগে নীরজ চোপড়ার ডান হাতের কনুইতে জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। মুম্বইয়ের কোকলিবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে অসম্ভব করে দেখিয়েছিলেন প্রখ্যাত সার্জেন দিনশ পারদিওয়ালা। সফল অস্ত্রোপচারের পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা শুধু নয়, ফের জ্যাভলিন হাতে তুলে বিশ্বকে তাক লাগালেন ২৩ বছরের ভারতীয় অ্যাথলিট। নীরজের সাফল্যে গর্বিত ওই ডাক্তার এবং মুম্বইয়ের হাসপাতাল।
ডাক্তারের খোঁজ কীভাবে পেয়েছিলেন নীরজ
কেরিয়ার নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে কার্যত দিশেহারা হয়ে যাওয়া নীরজ চোপড়ার পাশে বন্ধু হয়ে এগিয়ে এসেছিল হরিয়ানার বিখ্যাত ফোগাত পরিবার। কুস্তিতে বিশ্ব কাঁপানো সেই পরিবারের দুই বোন গীতা ও ববিতা, বন্ধু নীরজকে দিনশ পারদিওয়ালার কাছে যেতে বলেছিলেন বলে জানানো হয়। তারই প্রেক্ষিতে ভারতের অ্যাথলেটিক্স ফে়ডারেশনের থেকে ছাড়পত্র নিয়ে মুম্বই পাড়ি জমিয়েছিলেন টোকিও গেমসে সোনাজয়ী অ্যাথলিট। জসপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আইয়ার, সাইনা নেহওয়ালের চোট সারানো ওই ডাক্তার নীরজের সোনার হাতেও নতুন ভাবে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন।