ভারতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমুখী। এরকম সময়েই কোভিড সংক্রমণ ১ লক্ষের সংখ্যা স্পর্শ করল আমেরিকায়৷ সারা বিশ্বের গবেষকদের চিন্তা বাড়িয়ে নতুন করে মারণ ক্ষমতা বাড়াচ্ছে কোভিড৷ হঠাৎ করে আমেরিকায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে ডেল্টাকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷
বিশ্বের অন্যতম বিত্তবান, শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। করোনার টিকাকরণও শুরু করে দিয়েছে অন্যান্য দেশের অনেক আগেই। তা সত্ত্বেও এখন প্রতিদিনই এক লক্ষ করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই দেশে৷ কারণ খুঁজতে হিমসিম খাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা! যেখানে জুন মাসে দেশজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছিলেন ১১ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। সেখানে হঠাৎ করে দৈনিক ১ লক্ষ সংক্রমণ নিঃসন্দেহে নয়া স্ট্রেনেরই ফলে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে এই সংখ্যাটা অবশ্য আরও বেশিই ছিল। মার্কিন মুলুকে তখন দৈনিক আড়াই লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন মারণ ভাইরাসে। ধীরে ধীরে টিকাকরণের ফলে সেই সংখ্যা কমতে শুরু করে। দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের ৭০ শতাংশকে টিকা দেওয়ার পর জুন মাসে অনেকটাই কমে আসে সংক্রমণ।
সরকারি হিসেব বলছে, যে সমস্ত ব্যক্তিরা এখনও টিকা নেননি, তাঁদের মাধ্যমেই দ্রুত ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বিশেষত দেশের দক্ষিণাংশে সংক্রমণের চরম রূপ দেখা যাচ্ছে। সেখানকার হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে রোগীসংখ্যা৷ সরকারের রোগ প্রতিরোধ মন্ত্রকের ডিরেক্টর রোচেল ওয়ালেনস্কাই বলেন, ' আমরা দেখতে পাচ্ছি, যদি আমরা গণটিকাকরণের রাস্তায় না হাঁটি তাহলে আরও বৃদ্ধি পাবে সংক্রমণ। জানুয়ারির শুরুর দিকে যেভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, একই দশা হবে।'
হুস্টন শহরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই ঢেউয়ের ফলে কার্যত ভেঙে পড়তে চলেছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। বহুক্ষেত্রে এমনও হচ্ছে যে রোগীদের অন্যান্য শহরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসার জন্য।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!