সামনেই ভারতের স্বাধীনতা দিবস। কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দেশকে। বিশেষ করে কড়া নিরাপত্তার আঁটসাঁট করা হয়েছে। গোপন সূত্রের খবর, লালকেল্লাতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। আর সেই আশঙ্কাতে একাধিক সন্দেহভাজন জঙ্গির ছবি সামনে আনা হয়েছে। আর এই আতঙ্কের মধ্যে ফের একবার গুলির শব্দে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ!
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলে পুলিশ এবং জঙ্গিদের মধ্যে। দুপক্ষের মধ্যে চলা গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত ওই ব্যক্তি পুলিশের এক জওয়ান বলে জানা যাচ্ছে।
আর এই ঘটনা সামনে আসার পরেই হাই-অ্যালারট জারি করা হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ প্রশাসনের তরফে কাশ্মীরের একাধিক জায়গাতে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। করা হয়েছে পুলিশ পিকেটিং। ভারতীয় সেনাকেও এই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে কাশ্মীরেও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা কড়া হয়েছে। ১৫ অগস্টকে সামনে রেখে চলছে প্রস্তুতিও। কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে ত্রিবর্ন লাইটে সাজানোর কাজ চলছে। জানা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের তরফে নিরাপত্তার কাজ চলাকালীন হঠাত করে একদল জঙ্গি পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। হঠাত করে এমন ভাবে গুলি ধেয়ে আসাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বাঁচতে নিরাপদ যাওয়ার জন্যে ছোটাছুটি শুরু হয়ে। পরিস্থিতি কিছুটা সামলে ন্যে পাল্টা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। জম্মু এবং কাশ্মীরের কুলগামে শনিবার সন্ধাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এবং জঙ্গিদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ গুলি চলে বলে দাবি স্থানীয় মানুষজনের। তবে এই ঘটনাতে এক পুলিশ কর্মীর শহিদ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
অন্যদিকে, ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়েছে জঙ্গিরা। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গাতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার পর আরও বাড়ানো হিয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্যদিকে, দিল্লিতেও স্বাধীনতা দিবস হিসাবে নিরাপত্তা কড়াকড়ি করা হয়েছে। তবে দিল্লি পুলিশের চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্ট।
তথ্য বলছে, কৃষকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে লালকেল্লাতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। এই মুহূর্তে দিল্লিতে আন্দোলনে কৃষকরা। গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, লালকেল্লা টার্গেট জঙ্গিদের। আর তা পূরণ করতে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে জঙ্গিরা। এমনটাই আশগকা।
আর এই আশঙ্কা থেকে ৬ আল কায়েদা জঙ্গির পোস্টার লাগানো হয়েছে পুলিশের তরফে। সতর্ক করে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে। জঙ্গিদের নামের পাশে তাদের ঠিকানাও দেওয়া রয়েছে ছবিতে। দিল্লিবাসীর কাছে সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সন্দেহভাজন কাউকে মনে হলে আটক করা হচ্ছে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!