দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ স্কুল। মাঝে কয়েকদিন স্কুল শুরু হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বঙ্গে শুরু হতেই রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজ্যের স্কুলগুলি। এই অবস্থায় যদিও গত কয়েকদিন আগে স্কুল খোলার কথা বলা হয় এইমসের তরফে। ধীরে ধীরে আতঙ্ক কাটিয়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যেও স্কুল খুলতে চলেছে। বাংলাতে কবে স্কুল খুলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। এই অবস্থায় স্কুল খোলা নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খুব শীঘ্রই আঘাত হানতে পারে করোনার তৃতীয় ওয়েভ। এখন থেকে সচেতন না হলে আগামিদিনে বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক থেকে শুরু করে গবেষকদের। এই অবস্থায় কীভাবে থার্ড ওয়েভকে ঠেকানো যায় তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মূলত তৃতীয় ওয়েভকে সতর্কতা নিয়ে এই বৈঠক হয়। সেখানে করোনাকে রুখতে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে স্কুল খোলার বিষয়টিও উঠে আসে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুজোর ছুটির পরেই রাজ্যে স্কুল খোলার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি যদি সেই সময় ঠিক থাকে তাহলে স্কুল খোলা হবে। তবে একদিন ছাড়া একদিন করে স্কুলগুলি খোলা হবে। কিন্তু কোন ক্লাস থেকে কোন ক্লাসের পড়ুয়াদের স্কুলে ডাকা হবে সেই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন শুধু জানিয়েছেন যে, "পুজোর ছুটির পর আমরা চেষ্টা করব একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলো খোলার।"
তবে এদিন স্কুল খোলা নিয়ে বললেও কলেজ কিংবা বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে খোলার বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে স্কুল খোলার বিষয়ে যে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা হওয়াতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবকদের মধ্যে।
অন্যদিকে এদিন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, টিকা বন্টনের নীতি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর দাবি, ''টিকা না থাকলে একসঙ্গে ১০ হাজার লোক এলে কী ভাবে টিকা দেব? পরপর সবাই পাবে। যে রকম টিকা পাব, তেমন দেব।'' মমতার অভিযোগ, ''গুজরাতে জনসংখ্যা বাংলার প্রায় অর্ধেক, অথচ ওরা বেশি টিকা পেয়েছে। সব রাজ্য টিকা পাক, কিন্তু যেন কোনও বৈষম্য না হয়। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য, তাই গুরুত্ব দেওয়া হোক।''
অন্যদিকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধায় বলেন, শরীর অসুস্থ বোধ হলেই ডাক্তারের কাছে যান। ভয় না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসা করান।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, মানুষ যাতে কোনও আতঙ্কিত হয়ে না পড়ে সেজন্যে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে। মানুষকে বোঝাতে হবে অক্সিজেন থেকে শুরু করে সব হাসপাতালের বেড সবটাই প্রস্তুত রয়েছে। ফলে আতঙ্কিত না হয়ে যাতে ঠিক সময়ে চিকিৎসাটা করা যায় সেটা খেয়াল রাখতে হবে বলে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান এই নোবেলজয়ী।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!