প্রথম দুই কোয়ার্টারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
শুরু থেকেই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে টোকিও অলিম্পিকের তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচ। যদিও আক্রমণে ঝাঁঝ বেশি থাকে জার্মানির। বলের দখলও নিজেদের কাছে বেশি রাখে মনপ্রীত সিংদের প্রতিপক্ষ। তাই প্রথম কোয়ার্টারেই গোল পেয়ে যায় জার্মানি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। এক গোল শোধ দেয় মেন ইন ব্লু। গোল করেন সিমরনজিৎ সিং। এরপর আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে জার্মানি। পরপর দুটি গোল করে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় সাদা জার্সি গায়ে মাঠে নামা দল। তবু লড়াই অব্যাহত রাখে নীল জার্সিধারী খেলোয়াড়রা। একই কোয়ার্টারে দুই গোল শোধ দেয় ভারত। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন হার্দিক সিং ও হরমনপ্রীত সিং।
|
ভারতের জয়
তৃতীয় কোয়ার্টারের ঝড়ের মতো আক্রমণ তুলতে থাকে ভারত। শুরুর মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল পেয়ে যায় ভারত। পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে গোল করে ভারতের হয়ে ব্যবধান বাড়ান রূপিন্দর পাল সিং। কয়েক মিনিট পরে দুর্দান্ত দক্ষতায় দেশের হয়ে গোলের ব্যবধান বাড়ান সিমরনজিৎ সিং। ম্যাচে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। তৃতীয় কোয়ার্টারে ৫-৩৩ গোলে এগিয়ে থাকে ভারত। লড়াকু জার্মানি চতুর্থ কোয়ার্টারে ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করে। লাগাতার আক্রমণে ভারতীয় ডিফেন্সকে তারা ফালাফলা করে দেয়। ওই কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে মনপ্রীত সিংকে চাপেও ফেলা দেয় পরাজিত দল। তবে ভারতীয় গোলরক্ষক স্রিজেশের দুর্দান্ত সেভে নিশ্চিত পতন থেকে রক্ষা পান মনপ্রীত সিংরা।
|
৪১ বছর পর পদক
১৯৮০ সালে অলিম্পিক থেকে শেষবার পদক জিততে সক্ষম হয়েছিল ভারত। সেবার সোনা এসেছিল ঘরে। ১৯৭২ সালের অলিম্পিকে শেষবার ব্রোঞ্জ জিতেছিল ভারতীয় হকি দল। টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস রচনা করে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না ভারতীয় খেলোয়াড়েরা। মাঠেই আনন্দাশ্রু দেখা যায় তাঁদের চোখে। উল্লেখ্য ৪৯ বছর পর অলিম্পিক হকির সেমিফাইনালে পৌঁছে আগেই ইতিহাস রচনা করেছিল ভারত। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে শেষ চারের মোকাবিলা হেরে গেলেও অবশেষে তৃতীয় স্থানে থেকে টোকিও অভিযান শেষ করলেন হরমনপ্রীত সিংরা।