কি বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় ধাক্কা খাচ্ছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাটাই। অনলাইন নির্ভর পড়াশোনা চললেও তাতে সমস্যায় পড়ছে গ্রামাঞ্চল ও প্রত্যন্ত এলাকার পড়ুয়া। এমতাবস্থয়া এবার করোনাকালে স্কুল খোলা নিয়ে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর তাতেই বলা হয়েছে স্কুলে যাওয়ার জন্য পড়ুয়াদের টিকা না নিলেও চলবে। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ডাঃ ক্যাথরিন ও'ব্রায়েন বলেন, "স্কুলে পড়ার জন্য কিশোর বা বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই কারণের জন্য তাদের স্কুলের দরজা বন্ধ রাখা উচিত নয়।"
শিক্ষকদের টিকাকরণে জোর
তবে শিক্ষক থেকে সমস্ত অশিক্ষক কর্মচারী সকলেরই যাতে টিকাকরণ হয় সেই বিষয়ে বিশেষ জোর দিচ্ছে হু। সহজ কথায় স্কুল খোলার আগে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রাপ্তবয়ষ্করই যাতে টিকাকরণ সম্পন্ন হয় সেই বিষয়টি দেখতে সকল দেশকে অনুরোধ করা হয়েছে। এদিকে শিক্ষকদের টিকাকরণে জোর দিতে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (সিবিএসই) এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছেও এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে সরকারের তরফে।
বিধিনিষেধের কথা বলেছে এইমস
অন্যদিকে দেশে স্কুল খোলার ব্যাপারে একগুচ্ছ বিধিনিষেধের কথা বলেছে এইমসও। এইমসের প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, " যে সমস্ত জেলায় করোনার গতিবিধি বর্তমানে আগের থেকে অনেটাই কম রয়েছে সেখানেই প্রথমে স্কুল খোলার ব্যাপারে ভাবা উচিত। তবে যেখানে এখনও করোনা সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী রয়েছে সেই সমস্ত জায়গার জন্য নতুন করে ভাবনা চিন্তা করা উচিত।"
কি বলছে শিশুদের করোনা গ্রাফ
এদিকে বিশেষজ্ঞরা গোড়া থেকেই বলছেন প্রাপ্ত বয়ষ্কদের তুলনায় ছোটদের করোনা সংক্রমণের প্রবণতা অনেকটাই কম। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট বলছে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে মাত্র ৮.৫ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নীচে। এদিকে শিশুদের টিকারণের বিষয়ে এখনও বৃহত্তর কোনও উদ্যোগ না নেওয়া হলেও ট্রায়াল চলছে বিভিন্ন দেশেই।
শুধু শ্বাসকষ্ট বা লকডাউনের আর্থিক ক্ষতি নয়! করোনা নিয়ে আরও বড় আশঙ্কা গবেষকদের