যুগ্ম দ্বিতীয়
ভারতের অপর মহিলা গল্ফার দীক্ষা ডাগর অবশ্য ৫৩ নম্বর স্থানে রয়েছেন। কিন্তু দুটি রাউন্ডে যে ছন্দে অদিতি রয়েছেন তা ধরে রাখতে পারলে গল্ফ থেকেও একটি পদক আসতেই পারে। আজ দ্বিতীয় দিনে শেষ পাঁচটি হোলের তিনটিতেই বার্ডির সুবাদে ফাইভ-আন্ডার ৬৬ করে দ্বিতীয় স্থান তিনি ধরে রেখেছেন। দুই রাউন্ড মিলিয়ে তাঁর স্কোর নাইন-আন্ডার ১৩৩ (৬৭,৬৬)। প্রথম রাউন্ডে মাত্র একবারই তিনি বগি মেরেছেন। বিশ্বের ২০০ নম্বর গল্ফার অদিতি এদিন বলেন, শেষ তিনটি হোলের ক্ষেত্রে যে শট নিয়েছিলেন তা তাঁর স্কোর বাড়ানোর পক্ষে সহায়ক হয়েছে। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দিনে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট অদিতি।
পদকের আশা
তাঁর সঙ্গেই যুগ্ম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ডেনমার্কের নানা কোরেৎজ ম্যাডসেন ও এমিলি ক্রিশটিন পেডারসেন। প্রথম রাউন্ডে অদিতির সঙ্গে যুগ্ম দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিশ্বের এক নম্বর গল্ফার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেলি কোর্দা শীর্ষস্থান দখল করেছেন। নাইন-আন্ডার ৬২ করে দুই রাউন্ড মিলিয়ে তাঁর স্কোর এখন হয়েছে ১৩ আন্ডার ১২৯ (৬৭, ৬২)। অদিতির সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট তাঁর সঙ্গেই ক্যাডি হিসেবে রয়েছেন মা মাহেশ্বরী। দ্বিতীয় রাউন্ডে অদিতি পাঁচটি বার্ডি মেরেছেন। রিও অলিম্পিকে ভালো শুরু করেও তৃতীয় ও চতুর্থ রাউন্ডে খারাপ স্কোর তাঁকে পদক জয়ের সম্ভাবনা থেকেই দূরে ঠেলে দেয়নি, নামিয়ে নিয়ে যায় ৪১-এ। ফলে সামনের দুটি রাউন্ডও খুব চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে অদিতির জন্য।
আরও বেশি বার্ডি
টোকিও অলিম্পিকের মহিলা গল্ফের ইভেন্ট ৭২ থেকে ৫৪ হোলের প্রতিযোগিতায় পরিণত হতে পারে। শনিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকার কারণেই এমনটা হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম দুই দিনের মতো কালও নিজের ছন্দ ধরে রাখতে পারলে পদকের সম্ভাবনা বাড়বে। অদিতি এ প্রসঙ্গে বলেন, আবহাওয়া উষ্ণ থাকায় গল্ফের আদর্শ পরিবেশ। সব মেয়েরাই বেশি বেশি করে বার্ডি মারছেন। তাই আমাকেও ভালো করতে হবে। ৫৪ বা ৭২ যত হোলের খেলাই হোক না কেন আমি অ্যাগ্রেসিভ থেকে যত বেশি সম্ভব বার্ডির লক্ষ্যেই নামব। অদিতি ভালো করলেও শেষ মুহূর্তে অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়া দীক্ষা ডাগর অবশ্য এবার খুব একটা ভালো কিছু করতে পারেননি। ২০ বছরের দীক্ষা দ্বিতীয় রাউন্ডে ওয়ান ওভার ৭২ স্কোর করায় তাঁর মোট স্কোর হয়েছে সিক্স ওভার ১৪৮ (৭৬, ৭২)। ৬০ জন গল্ফারের মধ্যে তিনি রয়েছেন যুগ্ম ৫৩তম স্থানে। তবে প্রথম রাউন্ডের পর তিনি তিন ধাপ উঠে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতের দুই পুরুষ গল্ফার অনির্বাণ লাহিড়ি ও উদয়ন মানে অবশ্য টোকিও থেকে ফিরেছেন খালি হাতেই।