সাবধানী শুরু
১৩ ওভারে বিনা উইকেটে ২১ রান নিয়ে খেলতে নেমে আজ শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। লাঞ্চের ঠিক আগে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে গিয়ে অকারণে উপহার দিয়ে বসেন রোহিত শর্মা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের স্কোর ছিল ৩৭.৩ ওভারে ১ উইকেটে ৯৭। ১০৭ বল খেলে ৩৬ রান করে অলি রবিনসনের শিকার হন রোহিত।
ব্যর্থ পূজারা
রিভিউ নিয়ে জীবন পেয়েও বড় রান করতে ব্যর্থ তিনে নামা চেতেশ্বর পূজারা। ৪০.২ ওভারে দলের ১০৪ রানের মাথায় আউট হন তিনি, জেমস অ্যান্ডারসনের বলে কট বিহাইন্ড হন। ১৬ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি পূজারা। তাঁর ফর্ম নিশ্চিতভাবেই চিন্তায় রাখছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
বিরাটের 'ডাক'
ঠিক পরের বলেই বিরাট কোহলিকেও কট বিহাইন্ডের মাধ্যমে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান জেমস অ্যান্ডারসন। ১৯ বলের মধ্যে রোহিত, পূজারা ও বিরাটের উইকেট হারায় ভারত। এই নিয়ে টেস্টে ১৩ বার শূন্য রান করলেন বিরাট। ভারত অধিনায়কের ব্যাটে শতরানের খরা অব্যাহতই রইল।
|
বেশি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে
বিরাট এই নিয়ে ১৩ বার শূন্য রানে আউট হলেন টেস্ট ক্রিকেটে। ২০১১ সালে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনি প্রথমবার টেস্টে প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হন, সেবার ২টি বল খেলেছিলেন। এরপর ওই বছরই মেলবোর্ন টেস্টে দলের দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট প্রথম বলে শূন্য রানে লেগ বিফোর হন। ২০১৪ সালে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে লিয়াম প্লাঙ্কেটের প্রথম বলে বোল্ড হয়েছিলেন বিরাট। ওই সফরেই ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে প্রথম ইনিংসে বিরাটকে শূন্য রানে ফিরিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন, সেই ইনিংসে বিরাট দুটি বল খেলেছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে পুনেতে বিরাট ২ বলে শূন্য করে আউট হন। ওই বছরই নভেম্বরে কলকাতায় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলি প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। ২০১৮ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শূন্য রানে বিরাট আউট হন দলের দ্বিতীয় ইনিংসে। ২০১৮ সালে মেলবোর্ন টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট ফের শূন্য রানে আউট হন, মাত্র ৪ বল খেলে। ২০১৯ সালে কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট আউট হয়েছিলেন প্রথম বলে। ওই বছরই ইন্দোরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত অধিনায়ক বিরাট ফের শূন্য় রানে আউট হন, দলের প্রথম ইনিংসে ২ বল খেলে ফেরেন লেগ বিফোর হয়ে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যে টেস্ট সিরিজ ভারত খেলেছিল তাতেও দুবার বিরাট আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫ বল খেলে। এরপর আমেদাবাদে শেষ টেস্টে দলের প্রথম ইনিংসে ৮ বল খেলে।
|
দ্বৈরথে এগিয়ে জিমি
এই সিরিজে বিরাট-অ্যান্ডারসন দ্বৈরথের দিকেই সকলে তাকিয়ে। কেন না, ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে অ্যান্ডারসন বিরাটকে চারবার আউট করলেও ২০১৮ সালে একবারও পারেননি। ২০১৪ সালে ৫০ বলের মধ্যে ১৯ রানের বিনিময়ে বিরাটকে চারবার আউট করেছিলেন জিমি অ্যান্ডারসন। এদিন কিন্তু তিনি প্রথম বলেই বিরাটকে ফিরিয়ে দ্বৈরথে আপাতত এগিয়ে গেলেন। ৪৩.২ ওভারে দলের ১১২ রানের মাথায় অজিঙ্ক রাহানে ৫ রানে রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে অবধি ৯টি চারের সাহায্যে ১৪৮ বল খেলে ৫৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন লোকেশ রাহুল।