গার্ডিনারের সোনা
আজ টোকিওর ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ৪৩.৮৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে ৪০০ মিটারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্টিভেন গার্ডিনার অলিম্পিক সোনা ঝুলিতে পুরে ফেললেন। কলম্বিয়ার হোসে জামব্রানো ৪৪.০৮ সেকেন্ড সময় করে জিতলেন রুপো, গ্রানাডার প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন কিরানি জেমস জেতেন ব্রোঞ্জ। এবারের অলিম্পিকে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরুষ অ্যাথলিটদের। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ইভেন্টে তাঁরা একটি ইভেন্ট ছাড়া পোডিয়াম ফিনিশে এখনও অবধি ব্যর্থ হয়ে পিছিয়ে পড়েছেন মহিলাদের সাফল্যের চেয়ে। যা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অলিম্পিকের ইতিহাসে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
চার লাখি দেশে একমাত্র সোনা
গার্ডিনারই বাহামা দ্বীপপুঞ্জের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্ট থেকে সোনা জেতালেন তাঁর দেশকে। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী তথা বিশ্বরেকর্ডের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েড ভান নিয়েকার্ক টোকিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হন। ফলে গত দুই বছর ধরে দারুণ ছন্দে থাকা স্টিভেনই সোনা জয়ের বড় দাবিদার ছিলেন। ২০১৭ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে তিনি নিয়েকার্কের পিছনেই ছিলেন। ২০১৯ সালে দোহায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নের শিরোপা নিজের দখলে নেন। গার্ডিনার রিও অলিম্পিকে ফাইনালে উঠতে পারেননি। এদিন সোনা জিতে তিনি বলেন, শুরুটা ভালো না হলেও পরে পুষিয়ে নিয়েছি। ২০০ মিটার যখন বাকি তখন গতি বাড়াই। ১০০ মিটার বাকি থাকাকালীন গতি চরম সীমায় পৌঁছে যখন লাইন ক্রস করছি বড় স্ক্রিনে নিজের নাম দেখে সত্যিই দারুণ লেগেছে।
সান মারিনোর সাফল্য
অলিম্পিক অনেক মজার অথচ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ভারতের দীপক পুনিয়াকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে পুরুষদের ফ্রিস্টাইল ৮৬ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন সান মারিনোর মাইলেস আমিন। মজার ব্যাপার হলো সান মারিনোর জনসংখ্যা জানলে অনেকেই অবাক হবেন। হাজার ৩৬-এর মতো! সেই সান মারিনো পদক তালিকায় ১৪০ কোটির ভারতের খুব নীচে নেই। ভারত ৬৫-তে। আর সান মারিনো ১টি রুপো ও ২টি ব্রোঞ্জ জিতে রয়েছে যুগ্ম ৬৯-এ।