ধীরে ধীরে জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে একাধিক রাজ্যের দখল পেতে চায় তৃণমূল। তবে ২৪ এর আগে ২৩ এর লড়াই যেন এখন তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। যেভাবেই হোক ত্রিপুরা দখলই এখনও পাখির চোখ! আর সেদিকে তাকিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন অভিষেক এন্ড কোং।
কার্যত প্রত্যেকদিন তৃণমূলের কেউ না কেউ ত্রিপুরা সফরে যাচ্ছেন। সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে কাজ করছেন। আর এই অবস্থায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তৃণমূলের। ত্রিপুরার মাটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল নেতৃত্ব।
শুধু অভিযোগ নয়, এই বিষয়ে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজির কাছে চিঠিও দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। শুধু তাই নয়, ওই চিঠিকে অভিযোগ হিসাবে ধরে ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। আর এই অভিযোগ ঘিরেই সরগরম সে রাজ্য।
বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আর মিথ্যা অভিযোগ করে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলের এই মিথ্যাচার মেনে নেবে না বলে দাবি ত্রিপুরা বিজেপি নেতৃত্বের।
তবে পাল্টা তৃণমূলের দাবি, অভিষেকের গাড়ির কাছে লাঠির আঘাত এসে পড়েছে সেই ভিডিও সবাই দেখেছে। শুধু তাই নয়, লাঠি নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। এই অবস্থায় কোনও মিথ্যা বলা হচ্ছে না বলে দাবি তৃণমূলের।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ চন্দ্র দাস মারাত্মক এই অভিযোগ এনে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিকে এই চিঠি লিখেছেন। তাঁর দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ তাঁর। এই বিষয়ে সঠিক তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি প্রকাশবাবু চিঠিতে আরও একগুচ্ছ অভিযোগকে সামনে নিয়ে এসেছেন।
তাঁর দাবি, 'রাস্তার দু'ধারে বিজেপি-র পতাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয়েছিল। তাদের হাতে ছিল লাঠি এবং রড। যে ভাবে তারা অভিষেক এবং তাঁর সঙ্গী অজিত কুমার পালের গাড়িতে হামলা চালিয়েছিল তাতে স্পষ্ট, খুনের উদ্দেশ্য ছিল তাদের'। শুধু তাই নয়, অভিষেকের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে।
প্রকাশবাবু অভিযোগ করে লিখেছেন, অভিষেক জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। কিন্তু এরপরেও সরকারের তরফে কোনও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁর মতে, সবটাই ষড়যন্ত্র। আর এই ষড়যন্ত্রের সঙে যারা জড়িত আদ্র খুঁজে বের করে সত্যি প্রকাস্যে আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
বলা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রকাশ চন্দ্র দাস। ব্রাত্য বসু, ডেরেকের হাত ধরে তৃণমূলে এসেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সে রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে গত কয়েকদিন আগে ত্রিপুরা সফর করেন অভিষেক বন্দ্যপাধায়। তাঁর সফরের আগে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। তৃণমূলের সমস্ত ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই অবস্থায় ত্রিপুরাতে অভিষেক পা রাখতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের গাড়িতেও হামলা হয়। লাঠি পড়ার ভিডিও সামনে এসেছে। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। আর এর বিতর্কের মধ্যেই এই চিঠি দিয়ে আরও অস্বস্তি বাড়ল বিজেপি সরকারের! এমনটাই অত রাজনৈতিকমহলের।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!