কয়েকদিন আগেই সিবিআই তদন্তের পক্ষে সায় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। যা নিয়ে বিস্তর চাপানৌতরও তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। অবশেষে বুধবার ঝাড়খণ্ডের অতিরিক্ত জেলা বিচারক (এডিজি) উত্তম আনন্দের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিস কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআই। যা নিয়ে ফের আলোড়ন তৈরি হয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজ্য-রাজনীতিতে।
এদিকে আসল ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরেই সিবিআই তদন্তের জোরালো দাবি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন।এমনকী একই দাবি জানিয়েছিল মৃত বিচারকের পরিবারও। পরবর্তীতে তাদের দাবিতে সম্মতি জানিয়েই সিবিআই তদন্তে সায় দেয় রাজ্য সরকারও। অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে উত্তম আনন্দের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করতে চলেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অন্যান্য দিনের মতো দুর্ঘটনার দিন সকালে জগিং করতে বেরিয়েছিলেন বিচারক। আর তখনই রাস্তায় একটি অটো এসে ধাক্কা দিয়েছিল তাঁকে। প্রাথমিক ভাবে সবাই মনে হয়েছিল এটা নিছকই দুর্ঘটনা। কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজ সামনে আসতেই বাড়ে চাঞ্চল্য। তাতেই দেখা যায় একেবারে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের জেলা এবং অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক উত্তম আনন্দকে। তিনি রাস্তার ধার ঘেঁষে হাঁটালেও একটি অটো আচমকাই গতিমুখ বদলে তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। সেই নিয়েই তুমুল শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের দু'বছর, 'নয়া কাশ্মীরে'র আশাবাদীরা দিচ্ছেন রোমের উদাহরণ
এমনকী এই ঘটনার রেশ গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। এদিকে বাড়ি থেকে মাত্র আধ কিলোমিটার দূরে অটোতে ধাক্কা দেয় তাঁকে। পরে স্থানীয়রাই উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই কিছু সময় পর মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের ধারণা, কোনও মাফিয়া চক্র প্রতিশোধ নিতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আরতেই তুমুল আলোড়ন পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। অবেশেষে শনিবার হেমন্ত সোরেন সরকারও সিবিআই তদন্তে সায় দেয়।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!