ভারতের সম্ভাব্য একাদশ
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে বিরাট কোহলি দুই ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ৯৭ ও ১০৩। রান পেয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানে। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুজনেই প্রথম একাদশে থাকছেন। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি লোকেশ রাহুলের। অভিমন্যু ঈশ্বরনের টেস্ট অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাহুলকে না নেওয়া হলে এগিয়ে হনুমা বিহারী। তিনে চেতেশ্বর পূজারা, চারে বিরাট কোহলি, পাঁচে অজিঙ্ক রাহানে, ছয়ে ঋষভ পন্থ। উইকেটে ঘাস থাকলেও তা শুকিয়ে রং বদলাতে শুরু করেছে। ফলে বল ঘোরার সম্ভাবনা থাকছেই। সাতে অল রাউন্ডার হিসেবে শার্দুল ঠাকুর ভাবনাতে থাকলেও প্রস্তুতি ম্যাচেও সফল রবীন্দ্র জাদেজাকে সাতে রেখে অশ্বিনকে আটে নামানো হতেই পারে। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরাহই খেলেছিলেন। সেই কম্বিনেশনই রাখা হতে পারে। মহম্মদ সিরাজকে খেলালে কোপ পড়তে পারে বুমরাহ-র উপর।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ
নটিংহ্যামের উইকেট দেখে জেমস অ্যান্ডারসনও বলেছেন, আমাদের দলে একজন স্পিনার থাকবেন। ইংল্যান্ড চার পেসারে নামতে চলেছে। অ্যান্ডারসনের সঙ্গী হবেন স্টুয়ার্ট ব্রড, অলি রবিনসন ও স্যাম কারান। স্পিনার জ্যাক লিচ। ওপেন করবেন ররি বার্নস ও ডম সিবলে, তিনে জ্যাক ক্রলি, চারে অধিনায়ক জো রুট। পাঁচে অলি পোপ, ছয়ে উইকেটকিপার জস বাটলার।
বিরাটের সামনে নজিরের হাতছানি
২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে গোলাপি বলে টেস্টে শতরানের পর সেঞ্চুরির খরা চলছে বিরাটের ব্যাটে। পয়া ট্রেন্ট ব্রিজে তিনি শতরান করলে টপকে যেতে পারবেন রিকি পন্টিংয়ের রেকর্ড। অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনেরই শতরানের সংখ্যা ৪১। পন্টিং খেলেছেন ৩২৪টি ম্যাচ, বিরাট ২০১টি। বিরাট নিজে অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন কোনও মাইলস্টোনের লক্ষ্য় নিয়ে তিনি মাঠে নামেন না। নামেন জেতার লক্ষ্যেই, সেরাটা উজাড় করে দিতে।
চনমনে বিরাট
টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা বেন স্টোকস মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের বিরতি নিয়েছেন। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর ভারতীয় দল ২০ দিনের ছুটিতে ছিল। এমনকী ডারহামে প্রস্তুতির ফাঁকে স্ত্রী অনুষ্কা ও কন্যা ভামিকাকে নিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছেন বিরাট। তাঁর কথায়, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ক্রিকেট খেলার ফাঁকে এমন ছুটি খুবই কার্যকরী। আমার নিজের জন্যও রিফ্রেশ হয়ে ফের মাঠে নামার ক্ষেত্রে এই ধরনের দিন কয়েকের বিরতি গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অধিনায়ক হিসেবে দলের দায়িত্ব বহন করায় স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থাকে। ফলে বায়ো বাবলে দীর্ঘদিন থাকলে পরিস্থিতি ক্রমেই কঠিন হয়ে যায়। তাই সাময়িক বিরতি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
স্টোকস প্রসঙ্গে
বেন স্টোকসের বিরতি নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিরাট বলেন, যদি ক্রিকেটারের কোনও সমস্যা থাকে তাহলে ক্রিকেট মাঠে খেলার মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এখন বেন স্টোকস বিরতি নিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও কেউ নিতে পারেন। বায়ো বাবলের ক্লান্তিই এই ধরনের বিরতি নেওয়ার মূল কারণ। অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, প্রতিদিনই দল পরিচালনা, কৌশল নির্ধারণ নিয়ে নানা ভাবনা ঘুরপাক খায়। ফলে স্যুইচ অফ করা বা সেই ভাবনা দূরে রাখা বাস্তবে সম্ভব নয়। আর সে কারণেই এই ধরনের ব্রেক বা ছুটি নেওয়া খুব জরুরি। আমরাও বছর খানেক ধরে বায়ো বাবলে রয়েছি, এটা মোটেই সহজ নয়।