টোকিও অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জিতলেন আমেরিকার সিডনি ম্যাকলাফলিন। নিজেরই গড়া বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির গড়লেন ২১ বছরের অ্যাথলিট। হাড্ডাহাড্ডি মোকাবিলায় হারালেন ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী আমেরিকার ডালিলাহ মহম্মদকে হারিয়ে দিলেন সিডনি। রূপো জিতলেন মহম্মদ।
মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলসের ফাইনালে সাত প্রতিপক্ষের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। রেসে প্রথম হওয়া সিডনি ম্যাকলাফলিন ৫১.৪৬ সেকেন্ডে প্রতিযোগিতা শেষ করেন। যা এক নতুন বিশ্ব রেকর্ড। একই ইভেন্টে এর আগের বিশ্ব রেকর্ডও ছিল সিডনির ঝুলিতে। গত জুনে ওরেগোঁতে হওয়া মার্কিন অ্যাথলিটদের ট্রায়ালে ৫১.৯০ সেকেন্ডে মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলস ইভেন্ট শেষ করেছিলেন ২১ বছরের অ্যাথলিট। বুধবার নিজের সেই পারফরম্যান্সকে ছাপিয়ে গিয়েছেন সিডনি।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন আমেরিকারই ডালিলাহ মহম্মদ। যিনি মহিলাদের ৪০০ মিটার হার্ডলেস ইভেন্ট ৫১.৫৮ সেকেন্ডে শেষ করেছেন। সিডনির থেকে পিছিয়ে থেকে রূপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের সোনাজয়ী অ্যাথলিটকে। ৫১.৫৮ সেকেন্ডে প্রতিযোগিতা শেষ করে সিডনির গড়া পুরনো বিশ্ব রেকর্ড ভেঙেছেন মহম্মদও। ইভেন্ট থেকে ব্রোঞ্জ জিতেছেন নেদারল্যান্ডসের ফেমকে বোল। যিনি ৫২.০৩ সেকেন্ড প্রতিযোগিতা শেষ করেন।
২১ বছরের সিডনি বাবা উইলিস ম্যাকলাফলিন ১৯৮৪ সালের অলিম্পিক ট্রায়ালের সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন। তাঁর মা ছিলেন হাইস্কুল রানার। ফলে বাবা-মায়ের কাছ থেকেই অলিম্পিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল সিডনির। জীবনের প্রথম অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার আগে দোহায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ৪০০ মিটার হার্ডলস ও ৪x৪০০ মিটার রিলে ইভেন্টে তিনি সোনা জিতেছিলেন। ২০১৫ সালের বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জিতেছিলেন সিডনি ম্যাকলাফলিন। তাঁর প্রথম অলিম্পিক পারফরম্যান্সে মুগ্ধ দেশের ক্রীড়া মহল।
এর আগে টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে সোনা জিতেছিলেন নরওয়ের কার্স্টেন ওয়ারহোম। নিজেরই পুরনো নজির ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছিলেন ২৫ বছরের দৌড়বিদ। মঙ্গলবার টোকিও অলিম্পিকে পুরুষদের ৪০০ মিটার হার্ডলসের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে আট প্রতিযোগীর এই রেসের শুরু থেকেই বাকিদের থেকে অনেকটা ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ওয়ারহোম। সেই ব্যবধান তিনি শেষ পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিলেন। প্রথম স্থানে থেকে ৪০০ মিটার হার্ডলসের প্রতিযোগিতা শেষ করেছিলেন নরওয়ের অ্যাথলিট। সময় নিয়েছিলেন ৪৫.৯৪ সেকেন্ড। যা অতীতে ওয়ারহোমেরই গড়া বিশ্ব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যায়।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!