বাংলাতে সঠিক ভাবে ভ্যাকসিন বন্টন হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শুধু তাই নয়, ব্যাপক ভাবে অপচয় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। এবার খোদ তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগকে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কীভাবে সরকারি নজরদারি এড়িয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভ্যাকসিন পৌছালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রীতিমত হৈচৈ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে ভ্যাকসিন সরকারি কেন্দ্র ছেড়ে পার্টি অফিসে পৌঁছল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে এই বিতর্ক সামনে আসার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই ক্যাম্প। জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙরের একটি তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছিল। অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁর নিজের প্রভাব খাটিয়ে পার্টি অফিসের মধ্যে ক্যাম্প করান। সেখান থেকে প্রায় ১৫০ জন এলাকার মানুষ ভ্যাকসিনও নেন।
অন্যদিকে সরকারি এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ হওয়ার কথা ছিল স্থানীয় আইসিডিএস অর্থাৎ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেই মতো সকাল থেকে ভ্যাকসিনের জন্যে ছিল সেখানে লম্বা লাইন। অনেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভ্যাকসিন না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসেনও। পরে জানাজানি হয় যে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় একটি তৃণমূল ক্যাম্প থেকে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ বেঁধে যায়।
যে তৃণমূল নেতার উদ্যোগে এই ক্যাম্প চলছিল তিনি এলাকার এক প্রভাবশালী বলে পরিচিত। তিনি এই ভ্যাকসিন ক্যাম্প চালানোর বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর যুক্তি, প্রবল বৃষ্টির কারণে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সমস্যা হচ্ছিল ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে। কিছুক্ষণের জন্যে এই ক্যাম্প তাঁর পার্টি অফিসে চালানো হয়েছিল বলে চাঞ্চল্যকর দাবি ওই তৃণমূল নেতার।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে চরম অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, এই বিষয়ে দলের কেউ জড়িত থাকলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। দল কখনও এমন কাজকে প্রশয় দেয় না বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিক্ষোভে বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, আমরা প্রথমদিন থেকেই বলে এসেছি মোদী সরকার যে ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে রাজ্যে তা খোলা বাজারে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কোথায় কি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও কোনও তথ্য রাজ্যের কাছে নেই বল দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
বাংলায় ভ্যাকসিন নিয়ে কেলেঙ্কারি হচ্ছে বলেও দাবি বিজেপির। এই বিষয়ে অবিলম্বে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে এই ঘটনার ভিডিও তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তা করে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, বিডিও'র অনুমতি কীভাবে পেলেন ওই তৃণমূল নেতা তা নিয়েও প্রশ্ন শুভেন্দুর।
উল্লেখ্য, দেবাঞ্জন-কাণ্ড সামনে আসার পরেই রাজ্যর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন অপচয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এমনকি কেন্দ্রের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে এই ঘটনাতে স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছনে, এই ঘটনার পূর্ণাং তদত হবে। এবং জড়িতদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!