কোভিডের 'ভয়' বাড়লে সংক্রমণ কমে, বলছে 'ট্রিপল কনটেজিয়ন' মডেল

এতদিন গবেষকরা বারবার বলছেন সচেতন হোন কিন্তু কোভিডকে ভয় পাবেন না৷ প্যানিক করবেন না৷ এবার কিন্তু আমেরিকার এনওয়াইইউ স্কুল অফ গ্লোবাল পাবলিক হেলথের গবেষকদের তনুত গবেষণায় উঠে এন চমকপ্রদ তথ্য৷ নিউইয়র্কের গবেষকরা 'ট্রিপল কনটেজিয়ন' মডেলের মাধ্যমে দেখিয়েছেন আগামীতে কখনও সলক্রমণ বাড়তে পারে করোনার। সঙ্গেই তারা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষের কোভিড নিয়ে ভয়-এর উপরও নির্ভর করছে কোভিডের সংক্রমণ বাড়া কমা।

ট্রিপল কনটেজিয়ন মডেল কী?

সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের এবং পূর্বাভাসের জন্য একটি নতুন গাণিতিক মডেলে 'ভয়'-কে অন্তর্ভুক্ত করে-রোগ এবং ভ্যাকসিন উভয়ই-আরও ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করেছেন এনওয়াইইউ স্কুল অফ গ্লোবাল পাবলিক হেলথের গবেষকরা।
তাঁরা জানিয়েছেন সংক্রমণের একাধিক তরঙ্গে মহামারী দেখা দিতে পারে। গ্লোবাল পাবলিক হেলথের গবেষকদের ভয়ের 'ট্রিপল কনটেজিয়ন' মডেলটি দ্য রয়েল সোসাইটি ইন্টারফেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে গবেষকরা বিস্তারিত বলেছেন কোভিডের সংক্রমণ কীভাবে ভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত!

করোনার ভয় বাড়লে সংক্রমণ কমে!

'ট্রিপল কনটেজিয়ন' মডেলের মাধ্যমেই উঠে এসেছে সাধারণভাবে করোনা নিয়ে ভয় বাড়লে সংক্রমণেও তার প্রভান পড়ে৷ সাধারণ মানুষ করোনা নিয়ে ভীত হলে বাইরে কম বেরোন, ভিড় এড়িয়ে চলেন, সঠিক নিয়ম মেনে মাস্ক পরেন৷ বার বার হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার সহ একাধিক প্রতিরোধী ব্যবস্থা নেন করোনা থেকে বাঁচার। বড় অংশের মানুষ এই পদ্ধতি অবলম্বন করায় করোনার সংক্রমণ চেনে ছেদ পড়ে৷ সংক্রমণের গতি কমে৷ কিন্তু করোনার ভয় একটু কমলেই অনেক মানুষ এই নিয়মগুলি শিথিল করেন৷ ফলে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সুযোগ তৈরি হয়।

ভারতের দ্বিতীয় ওয়েভই তার প্রমাণ?

ভারতে করোনার প্রথম সংক্রমণের গতি কমে গিয়েছিল ২০২০-র শেষে গিয়ে। ২০২১ এ একটা সময় দেশে দৈনিক সংক্রমণ ৪ হাজারে নেমে গিয়েছিল৷ সেখান থেকে মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ পৌঁছই দৈনিক ৪ লক্ষেরও উপরে। দৈনিক মৃতের সংখ্য ৪হাজার স্পর্শ করেছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন প্রথম ওয়েভের শেষে করোনার ভয় অনেকটাই কমে গিয়েছিল সাধারণের মনে। সাধারণ মানুষ কোভিডবিধি না মেনে, দীঘা, পুরি, দার্জিলিং সহ দেশের টুরিস্ট স্পটগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন৷ স্বাভাবিকভাবেই ভয়ঙ্কর রূপে দ্বিতীয় ওয়েভ হয়ে ফিরেছিল করোনা৷

ভ্যাকসিন নিয়ে ভয় বাড়লে করোনা বাড়ে!

এনওয়াইইউ স্কুল অফ গ্লোবাল পাবলিক হেলথের গবেষকদের মতে করোনা নিয়ে ভয় বাড়লে যেমন কোভিডের সংক্রমণ কমে একইভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ালে মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার ব্যাপারে ভীত হন৷ বড় অংশের মানুষ ভ্যকসিন নিতে চান না৷ ফলে বেশি সংখ্যায় মানুষের দেহে কোভিডের প্রতিরক্ষা তৈরি হয় না। বেশি মাত্রায় মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হন টিকাকরণ না থাকার ফলে৷ টিকা শুধু মানুষকে মৃত্যু বা গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকেই বাঁচে না৷ পাশাপাশি পর্যাপ্ত টিকাকরণ সংক্রমণের গতি হ্রাস করে।

প্রথম ওয়েভের পর ভারতে ভ্যাকসিনের অনিহা সেকেন্ড ওয়েভকে তরান্বিত করেছিল!

২০২১-এর জানুয়ারি থেকে দেশে করোনা ভ্যাকসিনের জোগান থাকলেও প্রথম প্রথম অনেকেই ভয়ে (বিভিন্ন গুজব শুনে) সময় মতো টিকা নেননি। যার ফল সেকেন্ড ওয়েভেভুগতে হয়েছে ভারতকে।

কী বলছেন মহামারীবিদ্যার অধ্যাপক জোশুয়া এপস্টাইন?

এনওয়াইইউ মডেলিং ল্যাবরেটরির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, এনওয়াইইউ স্কুল অফ গ্লোবাল পাবলিক হেলথের মহামারীবিদ্যার অধ্যাপক জোশুয়া এপস্টাইন বলেন, ভয়ের মতো একটি অনুভূতি অনেকাংশেই একটি সাধারাণ অসুখ এবং মহামারির মগো বিষয়কে প্রভাবিত করতে পারে। করোনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More CORONAVIRUS News  

Read more about:
English summary
Covid infection control by people's fear, if fear of covid increases infection may decrease and visevars,
Story first published: Wednesday, August 4, 2021, 15:48 [IST]