ঝাড়গ্রামের পুচকু কে?
জন্মের পর থেকেই হৃদপিণ্ডে ফুটো ছোট্ট রণদীপের৷ শুধু তাই নয়, প্রকৃতির বেনিয়মে ধমনী এবং শিরা স্থান অদলবদল করেছে। বাবা পেশায় টোটোচালক, জটিল অস্ত্রোপচার করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই পরিবারের কাছে। কিন্তু তাতে কী? ঝাড়গ্রামের মানুষ রয়েছে মানুষের পাশেই। মহামারীর সময় শারীরিক দুরত্ববিধি মেনেই সামাজিকতা রক্ষা করছেন ঝাড়গ্রামের মানুষ।
কী ঘটেছে?
গত ২৯ জুন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সন্দীপ সেনগুপ্তের স্ত্রী আশালতা। পরামর্শমতো দু'সপ্তাহ বাদে ফের চিকিৎসকের কাছে গেলে তাঁরা জানতে পারেন, হৃদযন্ত্রে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে শিশুটির। এরপরই গত শুক্রবার জ্বর এবং শ্বাসকষ্টতে শুরু হয় শিশুটির। জেলা হাসপাতালের নবজাতক বিশেষজ্ঞ সুদীপ রায় জানান, শিশুটি খুবই বিরল রোগে ভুগছে। তার শিরার জায়গায় ধমনী এবং ধমনীর জায়গায় শিরা রয়েছে। একইসঙ্গে ফুটোও রয়েছে হৃদযন্ত্রে।
এগিয়ে এলেন ঝাড়গ্রামের মানুষ
রাজ্য জুড়ে যখন রাজনৈতিক হিংসার খবর প্রায় প্রত্যেকদিন জায়গা করে নিচ্ছে সংবাদমাধ্যমে৷ ঠিক তখনই রাজনৈতিক দল মতের উর্ধ্বে উঠে সাগরিকা দাস, তমাল চক্রবর্তী, প্রতীক মিত্র, ভিকি দে-র মতো কিছু মানুষ উদ্যোগ নিয়ে প্রায় ফেসবুক সহ একধিক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একলক্ষ টাকা তোলেন রনদীপের জন্য৷ এগিয়ে আসেন এলাকার এমএলএ ও মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও৷ সবার চেষ্টাতেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নারায়নার মতো হাসপাতালে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ করে চিকিৎসা হয় রনদীপের৷
ফিরছে ঝাড়গ্রামের পুচকু
মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছে সবার আদরের 'ঝাড়গ্রামের পুচকু'। তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসার জন্য ফুল বেলুন দিয়ে গাড়ি সাজিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের অনেকেই৷ এই ঘটনা সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ধন্য ধন্য করছেন সবাই৷