দ্রুততম দে গ্রাস
কানাডার জাতীয় রেকর্ড গড়ে এদিন দে গ্রাস লাইন ক্রস করলেন ১৯.৬২ সেকেন্ডে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনেথ বেডনারেক জিতেছেন রুপো, তিনি এদিন কেরিয়ারের সেরা ১৯.৬৮ সেকেন্ড সময় করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই নোয়া লাইলস ১৯.৭৪ সেকেন্ড সময় করে জেতেন ব্রোঞ্জ। উল্লেখ্য, টোকিও অলিম্পিকের ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন দে গ্রাস। এদিন তা উন্নীত করলেন সোনায়।
|
আক্ষেপ মিটল
দে গ্রাস ২০১৫ সাল থেকেই বিশ্বের বড় আসরগুলিতে কোনও না কোনও পদক জিতে আসছেন। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে তিনি ২০০ মিটারে রুপো জিতেছিলেন, বোল্টের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। ২০১৯ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দে গ্রাস দোহায় ২০০ মিটারে রুপো জিতেছিলেন। এদিন তিনি ফাইনালে উঠেছিলেন জাতীয় রেকর্ড গড়ে, সময় নেন ১৯.৭৩ সেকেন্ড। যা রিও অলিম্পিকে তাঁর সময়ের চেয়ে ০.০৭ সেকেন্ড কম। ফাইনালে নিদের রেকর্ডকে আরও উচ্চতায় তুলে নিয়ে গেলেন। সোনা জয়ের পর দে গ্রাস বলেন, এই মুহূর্তটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। এই মুহূর্তের জন্যই কঠোর পরিশ্রম করেছি। দিন তিনেক আগে টোকিও অলিম্পিকের ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতে কিছুটা হতাশই হয়েছিলাম। আমার আরও ভালো করা উচিত ছিল। তখনই নিজেকে প্রত্যয়ী করে বুঝিয়েছিলাম, ২০০ মিটারে সোনা জয়ের লক্ষ্যেই নামতে হবে এবং জিততে হবে। আমি জানতাম মার্কিনদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। তাঁদের কথা ভেবেই হয়তো নিজের সেরা রেকর্ডটিও এদিন গড়তে পেরেছি, এই প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবেই সেরাটা বেরিয়ে এসেছে। পাঁচ বছর পর এখানেই নিজের সেরা সময় করলাম। সবমিলিয়ে শেষে সোনা জেতার লক্ষ্যপূরণ করতে পেরে ভালোই লাগছে।
পুরুষদের সোনা ভাগাভাগি,মহিলাদের নয়
উল্লেখ্য, পুরুষদের ১০০ ও ২০০ মিটারের সোনা দুই দেশের দুই অ্যাথলিটের মধ্যে ভাগাভাগি হলেও মহিলাদের ১০০ ও ২০০ মিটারে রিও অলিম্পিকের পর এবারের অলিম্পিকে দুটি সোনাই নিজের দখলে রেখেছেন বোল্টের দেশেরই এলাইনে থম্পসন-হেরাহ। এদিন দে গ্রাসের সোনার সাফল্যের সুবাদে অলিম্পিকের পদক তালিকায় চারটি সোনা জিতে ১৫ নম্বরে রয়েছে কানাডা। পদক তালিকায় ধরাছোঁয়ার বাইরে শীর্ষে থাকা চিন। ৩২টি সোনা, ২২টি রুপো ও ১৬টি ব্রোঞ্জ জিতেছে চিন। ২৫টি সোনা, ৩১টি রুপো ও ২৩টি ব্রোঞ্জ জিতে দ্বিতীয় স্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সবচেয়ে বেশি ৭৯টি পদক জিতেছে টোকিওয়, চিন জিতেছে ৭০টি। তিনে রয়েছে জাপান, গ্রেট ব্রিটেন চারে ও অস্ট্রেলিয়া পাঁচে রয়েছে পদক তালিকায়। ভারত রয়েছে ৬৫-তে।