উদ্বেগ বাড়ছে ৮ রাজ্যে
এদিকে গত দুদিনের পরিসংখ্যান বলছে বর্তমানে দেশের মধ্যে ৮ রাজ্যেই সর্বাধিক বাড়ছে করোনা উদ্বেগ। আর সকলের মধ্যে শীর্ষ রয়েছে কেরল। এমনকী বর্তমানে সাপ্তাহিক করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে কেরলে ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। বর্তমানে দক্ষিণের এই রাজ্যে প্রত্যেকদিনই ২০ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্তের খোঁজ মিলছে।
৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি
অন্যদিকে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও। প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সক্রিয় রোগী বাড়তে দেখা গিয়েছে মিজোরামে, মেঘালয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ এবং লাক্ষাদ্বীপেও সাপ্তাহিক সক্রিয় রোগীর ক্ষেত্রে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। যদিও গোটা পরিসংখ্যানে একমাত্র ব্যতিক্রম কেরল। কারণ কোনও রাজ্যেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ১ লক্ষের বেশি নেই। সেখানে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে কেরলে।
কোথায় দাঁড়িয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা
কেরলে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজারের উপরে। আর তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। এদিকে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাতের মতো বড় রাজ্যগুলিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রয়েছে ১ হাজারের নিচে। অন্যদিকে বর্তমানে দিল্লিতে ৫৬৮ টি সক্রিয় কেস রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে করোনা উদ্বেগ বাড়লেও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় টিকাকরণের ক্ষেত্রেও অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কেরল।
উদ্বেগ বাড়লেও টিকাকরণে এগিয়ে
বর্তমানে কেরলের ২৩ শতাংশ জনতার করোনা টিকার দুটি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেখানে দিল্লিতে সম্পূর্ণ করোনা টিকা পেয়েছেন ২১ শতাংশ মানুষ। রাজস্থানে এই হার ১৫ শতাংশ। অন্যান্য রাজ্যে তা আরও কম। এদিকে নতুন আশার আলো দেখিয়ে দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রোজই কমছে মহারাষ্ট্রে। বর্তমানে মারাঠা ভূমে সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ শতাংশ কমে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কি বলছে কেরলের করোনা পরিসংখ্যান
এদিকে কেরলে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ ৪৯ হাজারের বেশি। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা রয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজারের বেশি। মারা গিয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। এদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় আয়তনে অনেকটাই ছোট কেরল। সেখানে করোনার এই ব্যাপক বৃদ্ধিতে উদ্বেগ যে বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলেও ৬ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছে শিশুরা, দাবি নতুন সমীক্ষার