চিন এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে
উল্লেখ্য, শনিবারই হাইভোল্টেজ বৈঠকে লাদাখ ইস্যু নিয়ে পর্যালোচনা করতে চিন ও ভারত দুই দেশ বৈঠকে বসে। সেনা পর্যায়ের উচ্চস্তরে এই বৈঠক হয়। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দফায় দফায় ভারত এবং চিনের মধ্যে আলোচনা হয়। আলোচনাতে গালওয়ানের প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরায় বেজিং। কিন্তু পূর্ব লাদাখের এখনও একাধিক সীমান্ত রয়েছে যেখানে চিন এখনও ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমান্তে ঘেষে একের পর এক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর এই বিষয়ে আলোচনা করতে সেনাস্তরে সম্প্রতি এই বৈঠক হয়। আর এই বৈঠকের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর সেই ফুটেজ প্রকাশ্যে নিয়ে আসল বেজিং। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
লাগাতার ভারতীয় সেনাকে টার্গেট করা হচ্ছে
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্যাংগংয়ের ধারে উচু পাহাড় থেকে লাগাতার ভারতীয় সেনাকে টার্গেট করা হচ্ছে। পাহাড়ের উপর থেকে ছোঁড়া হচ্ছে ইট, পাথর। নীচে দাঁড়িয়ে চিনকে যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। মাত্র ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিও সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে যে, কয়েকজন চিন সেনা পাহাড় থেকে নীচে নামার চেষ্টা করলেও জলের স্রোতে তাঁদের ভেসে যেতে দেখা যাচ্ছে। ফলে এই ঘটনার পর চিনের তরফে মাত্র চার জন সেনার মৃত্যুর খবর সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তা যে কোনও ভাবে বিশ্বাসযোগ্য না তা এই ভিডিওতে পরিস্কার। দেখুন সেই ভিডিও-
|
কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি
তবে ভারত চিন সীমান্তে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। গালওয়াণ সংঘর্ষে চিনের তরফে কাঁটা লাগানো এক অদ্ভুদ অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অস্ত্রের আঘাতেই ভারতীয় সেনা শিবিরে ব্যাপক ভাবে মৃত্যু মিছিল হয় বলে দাবি করেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। প্রকাশিত ভিডিওটি স্পষ্ট ভাবে দেখলে দেখা যাবে চিনের তরফে সেই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। জেখানে ভারতীয় সেনা শুধু লাঠির ব্যবহার করেছে।
লাদাখ ইস্যুতে সেনা বাড়াচ্ছে দুই দেশ
অন্যদিকে, শনিবার ভারত এবং চিনের তরফে হওয়া বৈঠকে ভারতীয় সেনার তরফে লাদাখের ডেমচক ও ডেপসাং নিয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়। দুই তরফের সেনা সংঘাতের মাঝে ডেপসাংকে ফ্রিকশন পয়েন্ট হিসাবে ধরে ডিসএনগেজমেন্টের পথে হাঁটতে চেয়েছে ভারত। তবে চিন ডেপসাং নিয়ে নিজের জেদে অটুট। এমনটাই জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভারতের বার্তার প্রেক্ষিতে চিন কোনও সায় দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। আর সেই জেদেই পূর্ব লাদাখের বাকি এলাকা নিয়ে চিন কথা বলতে চায়নি। ফলে লাদাখ ইস্যুতে ক্রমশ চাপা টেনশন বেড়েই চলছে। এই অবস্থায় দুই দেশই ক্রমশ সেনা বাড়াচ্ছে।