রীতিমতো চাপে বিজেপি
অন্যদিকে নীতীশের আগেই পেগাসাস কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে ভাবে তদন্ত শুরু করেছে ছত্তিশগড় ও বাংলার সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের জেরে অনেকটাই চাপ বেড়েছে বিজেপির উপর। কিন্তু বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে পেগাসাস কেলেঙ্কারিতে জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বিরোধীদের পাশে দাঁড়াতে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
জোটসঙ্গীদের মধ্যে প্রথম তদন্তের দাবি নীতীশের
এমনকী বিজেপির জোটসঙ্গীদের তিনিই প্রথম যিনি এই কেলেঙ্কারির তদন্তের দাবি তুললেন। যদিও এর আগে পেগাসাস ইস্যুতে জোরদার তদন্তের দাবি জানিয়েছে শিবসেনাও। তারাও একসময়ে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত ছিল। এদিকে পেগাসাস নিয়ে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে নীতীশকে বলতে শোনা যায়, আমরা এতোদিন ধরে টেলিফোন ট্যাপিংয়ের কথা শুনে আসছি, কিন্তু আসল সত্যি জানি না। অবশ্যই এই বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত। কখনওই অযথা মানুষকে বিরক্ত করা, হয়রানি করা, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা ঠিক নয়।"
শরিকি দ্বন্দ্ব ও মন্ত্রিসভার রদবদলে বাড়ছে জলঘোলা
অন্যদিকে নীতীশ বিরোধের পিছনে পুরনো শরিকি দ্বন্দ্ব ও মন্ত্রিসভার রদবদলের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। অন্যদিকে নীতীশের কাঁধে বন্দুক রেখে বিহারের শেষ নির্বাচনে বিজেপি বড় জয় পেলে বিশেষ সুবিধা করতে পারেন জনতা দল ইউনাইটেড বা জেডিইউ। কিন্তু তারপরেও খাতায় কলমে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। কিন্তু আসল চালিকা শক্তি রয়েছে বিজেপির হাতেই। আর এই সমস্ত ফ্যাক্টরের কারণেই বর্তমানে জলঘোলা বাড়ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের।
আইএনএলডি-র সঙ্গে বৈঠকে নীতীশ কুমার
এদিকে বিজেপির সঙ্গে একাধিক বিষয়ে সংঘাতের আবহেই রবিবার ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদলের (আইএনএলডি) প্রধান ওম প্রকাশ চৌতালার সঙ্গে গুরগাঁয়ে দেখা করেন নীতীশ কুমার। যা নিয়েও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়। যদিও ওম প্রকাশ চৌতালার জোট বা ভোট কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়নি। এদিকে জাতের ভিত্তিতে আদমসুমারি নিয়েও কয়েকদিন ধরে বিজেপি-জেডিইউ সংঘাত অনেকটাই সামনে আসে।এমনকী নীতীশের দলের প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দেন বিহারের বিজেপি সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল। আর বর্তমানে নীতীশের ব্যবহারে সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলে মত অনেকের।
সৌমিত্রকে এখনও বিশ্বাস করেন সুজাতা, যুব মোর্চায় 'মহিলা বিতর্কে' দিলীপ ঘোষকে নিশানা