প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮-৪৪ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ১৫,৯৯,০৭,৩৭০ জন মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে এবং ৯৩,৮৬,২৮০ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ১ মে থেকে ভারতে তৃতীয় টিকাকরণের পর্যায় শুরু করে দেওয়া হয়।
টিকাকরণে এগিয়ে পাঁচ রাজ্য
মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে ১৮-৪৪ বছর বয়সী নাগরিকদের সামগ্রিকভাবে টিকাকরণ হয়েছে এক কোটিরও বেশি। এই পাঁচ রাজ্য টিকাকরণের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, ছত্তিশগড়, দিল্লি, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কেরল, তেলাঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িআ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৮-৪৪ বছর বয়সী সুবিধাভোগীদের মধ্যে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
৫০ শতাংশের সম্পূর্ণ টিকাকরণ
দেশে টিকাকরণের ১৯৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সম্পূর্ণ টিকা পেয়েছেন মাত্র ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (৪৭,০২,৫৯৬ কোটি)। অন্যদিকে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী দেশের ১৩৬.১৩ কোটি ভারতীয়দের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩৪.৫৫ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকা গ্রহণ করেছেন। এঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৭ শতাংশ মানুষ এবং সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৭.৬ শতাংশ মানুষ।
অগাস্টের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ সরকার
প্রসঙ্গত, কেন্দ্র সরকার আগে অনুমান করেছিল যে অগাস্টে মোট টিকাকরণ ২৫ কোটি হতে পারে। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের। কোভইড-১৯ ক্ষমতায়ন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ডাঃ এন কে অরোরা ৩১ মে জানিয়েছিলেন যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনের উৎপাদনের ক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অগাস্টে ভারতে ২৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহের কথা রয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিন উৎপাদনকারীরা তাদের প্রতিশ্রুতিমতো ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল যে অগাস্টে দৈনিক এক কোটি টিকাকরমের লক্ষ্য রয়েছে তাদের। কিন্তু সেই লক্ষ্য অর্জন থেকেও অনেকটাই দূরে কেন্দ্র। তবে ডাঃ ভিকে পালের জানিয়েছেন যে ভারত এর আগে যা পরিসংখ্যান দিয়েছিল তার অনেক কম ১৫ কোটি টিকাকরণ করানোর প্রত্যাশা রয়েছে অগাস্টে। এরকম পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকরা যদি কোভিড যথাযথ আচরণ বিধি মেনে না চলেন তবে দেশজুড়ে কোভিডের তৃতীয় ওয়েভ ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় নেবে না।