উহান জুড়ে আতঙ্কের চোরা স্রোত
১১ মিলিয়ন মানুষের বসবাস উহানে। চিনের এই শহরে কার্যত ২০১৯ সালের শেষ থেকে ত্রাস শুরু হয়েছিল অজানা জ্বর ঘিরে। যা পরবর্তীকালে করোনা সংক্রমণ বলে বিবেচিত হয়। জানা যায়, সেখানের একটি মাছের বাজারে এক মহিলার থেকে এই প্রবল সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরবর্তীকালে গোটা উহান যেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে মল্লভূমি হয়ে গিয়েছিল। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে যারপর নাই চেষ্টা করে চিন পরিস্থিতি কিছুটা আয়ত্তে আনে। তবে সেই ঘটনার পর ২০২১ সালের মাঝমাঝি সময় থেকে ফের একবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্ক দানা বাঁধে।
কোন পদক্ষেপ প্রশাসনের?
এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী চিনের অন্দরে উহানে নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট করে করোনা পরিস্থিতি বিচারে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে। উহানের ১১ মিলিয়ন মাসিন্দাকে নিয়ে সেখানের প্রশাসন করোনার টেস্ট করাচ্ছে। গোটা উহান কার্যত ইএই টেস্টিংএর হাত ধরে উথাল পাথাল পরিস্থিতিতে রয়েছে। জানা গিয়েছে বাইরে থেকে শহরে য়ে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা এসেছেন, উহান শহরে তাঁদের থেকেই করোনার ভয়াবহ ভাইরাস ছড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কার্যত তোলপাড় গোটা উহান। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে হু যখন উহান ঘিরে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় তদন্ত করতে উদ্যোগী হয়, তখন তাতে বাধা দেয় জিনপিং প্রশাসন। তারপরই উহান শহরে মারাত্মক আকারে ছড়াতে দেখা যাচ্ছে করোনা। পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক সন্দেহ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। এদিকে করোনার উৎসের সন্ধানে মার্কিন গোয়েন্দারা প্রবলবেগে তদন্ত শুরু করেন। এই অবস্থায় উহানের করোনা পরিস্থিতি আতঙ্কে রাখছে।
এক বছর পর উহানে জাগ্রত ভাইরাস
উহান শহরের ৭ জায়গায় রীতিমতো ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। করোনা পরিস্থিতিতে উহানের এই সাতটি জায়গা থেকে করোনার সংক্রমণ ধীরে ধীরে অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যেতে শুরু করেছে। গত এক বছরে এই উহানে সেভাবে কোনও বড়সড় করোনা সংক্রমণের খবর মেলেনি। সেই জায়গা থেকে বহু এলাকায় এই সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতেই ফের একবার নানান প্রশ্ন উঠছে। এদিকে বিশ্ব জুড়ে ডেল্টা ভাইরাসের রমরমার মধ্যে উহানে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালে চিনে হু হু করে সমস্ত কিছু বন্ধ করে লকডাউনের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়ে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। এরপর নয়া আতঙ্ক আরও ভয়াবহ দিকে যেতে শুরু করেছে।
আবদ্ধ নগরবাসী
উহান শহরের বাসিন্দাদের আপাতত ঘরবন্দি করে রাখা হচ্ছে। শহরের সঙ্গে বাকি এলাকার ঘরোয়া যোগাযোগ বহুদিন ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এইভাবে তাঁদের রেখেই গণ হারে করোনা ভাইরাসের টেস্টিং বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।গত কয়েকদিনে ৬১ টি পর পর করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে শুধুমাত্র উহান শহর থেকেই। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নতুন করে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়েছে উহানে তাতে ডেল্টা মূল কারণ। দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরের সাফাইকর্মীদের থেকে এই ভাইরাসের প্রবল প্রভাব ছড়াতে শুরু করে। বেজিংয়ের মতো শহরেও বহু লক্ষ মানুষের করোনা টেস্ট হয়েছে। বহু রোগীর ঘনিষ্ঠ কনট্যাক্টদের কোয়ারেন্টাইনের বন্দোবস্ত করা শুরু হয়েছেয