৬ মাসের মধ্যেই শান্ত হবে আফগানিস্তান
আফগান প্রেসিডেন্টের দাবি আগামী ৬ মাসের মধ্যেই শান্তি ফিরবে গোটা দেশে। শান্ত হবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পাশাপাশি তালিবান হানার কবল থেকে যাতে সাধারণ মানুষেরা সুরক্ষিত থাকে সেই বিষয়েো আফগান সেনা সদা সর্তক রয়েছে বলে জানান তিনি। কড়া নজরদারি চলছে বড় শহরগুলিতে। রবিবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে একথা বলতে দেখা যায় আসরফ গনিকে। পাশাপাশি তালিবান সহিংসাতা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
আদৌও কি ফিরবে শান্তি
এদিকে একাধিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহে গোটা আফগানিস্তানেই তালিবান আগ্রাসনের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এমনকী নৃশংসতার পরিমাণও উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। নির্যাতন বাড়ছে মহিলা, শিশু, অবলাদের উপরেও। অন্যদিকে গোটা দেশজুড়ে চলছে খুন, জখম, ব্যাপক লুঠতরাজ। এমতাবস্থায় অশান্ত আফগানিস্তানের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বেরইই। কিন্তু যেভাবে দিনে দিনে আগ্রাসী হয়ে উঠছে তালিবানেরা তাতে আফগান প্রধানের বক্তব্যের সারবত্তা কতটা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
শান্তি চুক্তির জন্য কি শর্ত রাখছে তালিবানেরা
এদিকে তালিবানদের স্পষ্ট দাবি শান্তি চুক্তির জন্য মাশুল দিতে হবে আফগান প্রধানকেই। ছাড়তে হবে রাষ্ট্রপতির পদ। শর্ত মোতোবেক সরতে হবে আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিকে। একমাত্র এই শর্ত মানা হলেই সমঝোতার রাস্তায় হাঁটতে প্রস্তুত তালিবানেরা। একমাত্র তারপরেই তারা অস্ত্র ফেলবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানলে আশরফ গনি সরকারের নৈতিক পরাজয় যে আসন্ন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এই সিদ্ধান্ত মানা যে কার্যত অসম্ভভ তা সকলেই বুঝছেন।
তালিবান কব্জায় দেশের ২২০টির বেশি জেলা
এদিকে কয়েকদিন আগেই ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে তালিবান হামলার কবলে পড়েন আফগান প্রধান। কাবুলে রাষ্ট্রপতি ভবনের পাশেই তিনটি ভয়ানক রকেট হামলা হয় বলে শোনা যায়। যে ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয় আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। এদিকে আফগানিস্তানের ভয়ঙ্কর অবস্থা দেখে গোটা বিশ্ব শিউরে উঠলেও তাতে ভ্রক্ষেপ নেই তালিবানদের। এমনকী তারা ইতিমধ্যেই সেদেশের ৮৫ শতাংশ এলাকার দখল নিয়ে ফেলেছে বলেও দাবি করেছে। এমনকী এখনও পর্যন্ত নাকি তাদের এসেছে ২২০টির বেশি জেলা।
মসজিদের মধ্যে নির্মম ভাবে খুন? দানিশ মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি আফগান সেনার মুখপাত্রের