কোভিশিল্ডের বেড়াজাল ভেঙেও সংক্রমণ ঘটাচ্ছে ডেল্টা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকে কোভিশিল্ডে সকলে আস্থা রাখলেও হতাশ করছিল কোভ্যাক্সিন। এমনকী এর কার্যতকারিতা নিয়েও একাধিকবার প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীতে দেখা যায় কোভিশিল্ডের বেড়াজাল ভেঙেও সংক্রমণ ঘটাচ্ছে ডেল্টা। কিন্তু নয়া গবেষণায় দেখা যাচ্ছে শুধু ডেল্টা নয়, ডেল্টা প্লাসের সংক্রমণ রোধেও বিশেষ ভাবে সক্ষম ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।
গবেষণা চালায় আইসিএমআর
সম্প্রতি কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। আর তারপরেই ভারত বায়োটেকের তৈরি এই করোনা ভ্যাকসিনকে দরাজ সার্টিফিকেট দিল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি। যা নিয়ে নতুন আশার আলো দেখছে স্বাস্থ্য মহল। আইসিএমআর-র সমীক্ষা জানাচ্ছে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনের দ্বারা করোনায় আক্রান্ত উপসর্গযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী।
কোভ্যাক্সিনের অর্ডার বাতিল করে ব্রাজিল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মডার্না, ফাইজার, স্পুটনিক ভি বাদে আর কোনও ভ্যাকসিনই মানবদেহে ৯৫ শতাংশের বেশি কার্যকরী নয় বলে জানা গিয়েছিল। পরবর্তিতে দেখা যায় ডোজের তারতম্যেও উচ্চ মানের সুরক্ষা দিতে সক্ষম কোভিশিল্ড। কিন্তু শুরু থেকে বরাবরই হতাশ করছিল ভারতের নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন। এমনকী এই টিকায় ব্যবহৃত বাছুরের সিরাম নিয়েও উঠেছিল প্রশ্ন। এমনকী ভারত ও প্রতিবেশি কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্ব বাজারে স্বীকৃতিও পায়নি কোভ্যাক্সিন। কয়েকদিন আগেই প্রায় ৪০ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের অর্ডার দিয়েও পরে তা বাতিল করতে দেখা যায় ব্রাজিলকে।
কোভ্যাক্সিনের এই চমকপ্রদ সাফল্যে খুশি সকলেই
কিন্তু তারপরেও কোভ্যাক্সিনের এই চমকপ্রদ সাফল্যে খুশি সকলেই। এদিকে ভারতে ইতিমধ্যেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। আর তা আসবে ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাসের হাত ধরেই। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ওয়েভ। আর তার হাত থেকে বাঁচতে টিকাকরণই যে একমাত্র অব্যর্থ ওষুধ তা টের পেয়েছেন সকলেই। কিন্তু কার্যকারিতা নিয়ে থাকছিল প্রশ্ন। এবার কোভ্যাক্সিনের উপর আইসিএমআর-র এই গবেষণায় তাই সকলেই দেখছেন নতুন আশার আলো।