সিন্ধুর অনবদ্য জয়
শুরু থেকেই ম্যাচে প্রাধান্য কায়েম করেন সিন্ধু। প্রথম গেমে শুরু থেকেই এগোতে থাকেন হায়দরাবাদি শাটলার। চিনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ৫-২ ফলাফলে এগিয়ে যান পিভি সিন্ধু। সেখান থেকে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন হি। একটা সময়ে ৬-৬ ফলাফলে আটকে যায় খেলা। সেখান থেকে ফের পয়েন্টের ব্যবধান বাড়াতে থাকেন সিন্ধু। ভারতীয় শাটলারকে আর ধরতে পারেননি চিনা প্রতিপক্ষ। প্রথম গেমে ২১-১৩ পয়েন্টের দাপুটে জয় পান সিন্ধু। ম্যাচেক দ্বিতীয় সেটও প্রাধান্য নিয়ে জেতেন সিন্ধু। ২১-১৫ পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে শেষ হাসি হাসেন ভারতীয় শাটলার।
পোডিয়ামে চেনা হাসি
সেই চেনা হাসি আরও একবার প্রত্যক্ষ করল বিশ্ব। রিও এবং টোকিও অলিম্পিকের মধ্যে সময়ের ব্যবধান পাঁচ বছরের হলেও সেবারের মতো এবারও পোডিয়ামে উজ্জ্বল ও আলোকিত হায়দরাবাদি শাটলারকে দেখল দুনিয়া। মুখে অমলিন সেই সরল হাসি। লড়ে জয় করা ব্রোঞ্জ পদকে সিন্ধু ঠোঁট ছোয়াতেই আবোগতাড়িত দেশ। রিওর মতো টোকিওতেও দেশকে গর্বিত করা ভারতীয় শাটলারকে কিংবদন্তি বলে আখ্যা দিচ্ছেন কেউ কেউ।
কীভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বাবা
সোনা জয়ের লক্ষ্যে টোকিও অলিম্পিকে খেলতে যাওয়া পিভি সিন্ধু সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। সেমিফাইনালে চাইনিজ তাইপেইয়ের তাই জু-র কাছে হেরে গিয়ে কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন হায়দরাবাদি শাটলার। কোনও রাখঢাক না করেই টোকিও অলিম্পিকের ফাইনালে না ওঠার আক্ষেপ করেছিলেন পিভি। ব্রোঞ্জ এবং সোনার পদকের মধ্যে পার্থক্য বিস্তর, তাও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দুই অলিম্পিকে পদকজয়ী অ্যাথলিট। ঠিক এমনই মুহুর্তে সিন্ধুকে উদ্বুদ্ধ করার কাজটি করেছিলেন তাঁর বাবা রমন সিন্ধু। সেমিফাইনাল হেরে হতাশ হয়ে পড়া সিন্ধুকে মানসিকভাবে চাঙা করেছিলেন তাঁর বাবা। মেয়েকে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে অলিম্পিক থেকে দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয়ও কম গর্বের নয়।
গোপীচাঁদের শুভেচ্ছা
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে রূপো জেতা পিভি সিন্ধুকে কোচিং করিয়েছিলেন যে পুল্লেলা গোপীচাঁদ, তিনি এবার ছিলেন দর্শক। কারণ টোকিও অলিম্পিকের আগে বিদেশি কোচের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সিন্ধু। তাতে কোনও আক্ষেপ নেই ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি শাটলারের। বরং নিজের প্রিয় ছাত্রীর এই দুর্দান্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন গোপীচাঁদ। সিন্ধুকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি গোপী বলেছেন, দীর্ঘদিনের কঠিন পরিশ্রমের ফসল পেলেন সিন্ধু।