মাঠে নামছে ৪ লক্ষের বেশি ভলান্টিয়ার
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় ভাবে দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মূলত গ্রামাঞ্চলে কাজের জন্যই তৈরি করা হচ্ছে ৪ লক্ষের বেশি ভলান্টিয়ারদের। তবে এদের সিংহভাগই পার্টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বা সহজ কথায় তাদের পার্টি কর্মীই বলা চলে। তবে এই সমস্ত পার্টি কর্মীকেই করোনা দমনে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
২ লক্ষ গ্রামে কাজ
সম্প্রতি এই নয়া সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক তরুণ চুগ। এক ইন্টারভিউয়ে সম্প্রতি তিনি বলন, "কোনও রাজনৈতিক হলে সামাজিক কাজের জন্য এই প্রথম একযোগে এই বিশাল পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবকের দল মাঠে নামছে। প্রাথমিক ভাবে আমরা ৪ লক্ষ স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেব বলে ঠিক করেছি। তারাই মূলত দেশের ২ লক্ষ গ্রামে কাজ করবে।"
২৮ জুলাই প্রকল্পের সূচনা
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই চলবে গোটা কার্যক্রম। তবে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য অবশ্যই গ্রাম। গ্রামাঞ্চলেই করোনা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা নেবে তারা। তবে এই কাজের স্বপ্ন প্রথম দেখেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা জী। তিনিই ২৮ জুলাই প্রথম এই কাজের সূচনা করেন।"
৯৫২টি জেলায় কর্মশালা আয়োজন
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে ৯৫২টি জেলায় কর্মশালা আয়োজন করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী ৩১ অগাষ্টের মধ্যেই তা শেষ হবার কথা। অন্যদিকে এই গোটা কর্মযজ্ঞের জন্য বিজেপির সঙ্গে ৫ হাজার ডাক্তারও হাত মিলিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও।
জনসংযোগ বাড়াতেই নয়া উদ্যোগ ?
এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহামারি ঠেকাতে কার্যত ব্যস্ত হয় কেন্দ্র সরকার। গোটা দেশজুড়েই শুরু হয় হাহাকার। আর তা থেকে শিক্ষা নিয়েই নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বিজেপি। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মন জয়, সামাজিক কাজ ও জনসংযোগে নতুন করে হাত পাকাতেই দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন রাজৈনতিক বিশ্লেষকদের। যদিও বিপির দাবি মানবিকতার দিক থেকেই তারা এই বিশাল পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে করোনা যুদ্ধে মাঠে নামতে চাইছে।
বিজেপি ছাড়ছেন কেন বাবুল সুপ্রিয়, ফেসবুক পোস্টে ‘যন্ত্রণা'র কাহিনিতে দিলেন বিশদ ব্যাখ্যা