৯ অগাষ্ট বসতে চলেছে বৈঠক
আগামী ৯ অগাষ্ট এই সভা বসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার এই তথ্য প্রথম দেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাধারণত যেই মাসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি যে দেশ হয়, সেই দেশের শীর্ষ নেতা রাষ্ট্রসংঘে বক্তব্য রাখেন। আর সেই নিয়ম মেনেই আসন্ন বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে চলেছেন মোদী।
স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর নয়া রেকর্ড
এদিকে ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর থেকে প্রথমবার এই গুরু দায়িত্ব সামালাতে চলেছ ভারত। এদিকে দায়িত্ব গ্রহণের পরই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। সমুদ্র সুরক্ষা, বিশ্বক্ষেত্রে শান্তি বজায় রাখা, সন্ত্রাসবাদ দমন সহ একাধিক বিষয়ে শুরু থেকেই কড়া অবস্থান নেওয়া হবে বলে নয়া দিল্লির তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে।
বক্তব্য রাখতে পারেন বিদেশমন্ত্রীও
অন্যদিকে আসন্ন বৈঠকে মোদীর পাশাপাশি বক্তব্য রাখতে পারেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করও। শোনা যাচ্ছিল এমনটাও। তবে এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সুরক্ষা, বিশ্ব শান্তি এবং সন্ত্রাসবাদ দমন এই তিন ইস্যুই যে আসন্ন সময়ে ভারতের কাছে মূল ইস্যু হতে চলেছে তা বারংবারই বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরাও। যদিও এই ক্ষেত্রে শুরুতেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে নয়া দিল্লি।
গুরুদায়িত্ব ভারতের কাঁধে
অন্যদিকে ১৫ সদস্যের এই আন্তর্জাতিক নিয়্ন্ত্রক সংস্থায় ভারতের এই নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তি যে ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রেও বড় ব্যাপার তা ভালোই বুঝেছেন সকলে। শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। এমনকী এই প্রসঙ্গে রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায় রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রাক্তন দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিনকে। এমনকী এই সাফল্য যে ইতিহাসের পাতাতেও লেখা হবে তা জানাতে ভোলেনি তিনি।
উচ্ছ্বসিত টুইট আকবরউদ্দিনের
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি টুইট পোস্টও করেন আকবরউদ্দিন। টুইটারে তিনি লেখেন, "ইতিহাসের পাতায় প্রথমবার। রাষ্ট্রপুঞ্জের গুরু দায়িত্ব পালন করতে চলেছে ভারত।। প্রথমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করতে চলেছেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। ৯ অগাষ্টই বসতে চলেছে সেই বৈঠক।"