সিরিজের প্রথম টি ২০ পরিত্যক্ত হয়েছিল বার্বাডোজের বৃষ্টিতে। তবে গায়ানায় এসেই সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। বাবর আজমের দল দ্বিতীয় টি ২০ ম্যাচে প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে কায়রন পোলার্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাল ৭ রানে। সেই সঙ্গে চার ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেল। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মহম্মদ হাফিজ।
শনিবার টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার শারজিল খান ও মহম্মদ রিজওয়ান। ৪.৪ ওভারে ৪৬ রানের মাথায় ভাঙে ওপেনিং জুটি, শারজিল ১৬ বলে ২০ করে আউট হন, তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২টি চার ও ১টি ছয়। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক বাবর আজম। ১৪.২ ওভারে ১১৩ রানের মাথায় ফেরেন রিজওয়ান। তারই ফাঁকে চলতি বছর টি ২০ আন্তর্জাতিকে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হন পাকিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ২টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৬ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি। পাকিস্তানের স্কোর যখন ২ উইকেটে ১৩৪ তখন বৃষ্টি নামে। এরপর খেলা শুরু হতেই প্রথম বলে ফেরেন পাক অধিনায়ক। চারটি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ৫১ রানে আউট হন তিনি। বড় রান তোলার সম্ভাবনা থাকলেও পাকিস্তান তা পারেনি শেষে ১২ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারানোয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানের বেশি তাই এগোতে পারেনি পাকিস্তান। ই ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে মাথায় চোট পেয়ে এদিন খেলতে পারেননি মঈন খানের পুত্র আজম। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জেসন হোল্ডার। ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন ডোয়েইন ব্র্যাভো।
A nice comeback by the #MenInMaroon bowlers 👏🏽👏🏽
— Windies Cricket (@windiescricket) July 31, 2021
Over to the batsmen to get us 1️⃣5️⃣9️⃣ runs for victory! 🌴🏏#WIvPAK #MissionMaroon pic.twitter.com/WZhCR4TsZo
টি ২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। মহম্মদ হাফিজ বোলিং ওপেন করার পর প্রথম ওভারেরই দ্বিতীয় বলে শূন্য রানে আউট হন আন্দ্রে ফ্লেচার। ক্রিস গেইলও তিনে নেমে চেনা ছন্দে ছিলেন না। ২০ বলে ১৬ রান করে তিনি আউট হন ষষ্ঠ ওভারে দলের ৩১ রানের মাথায়। শিমরন হেটমায়ারেরও ব্যাটে-বলে কাঙ্ক্ষিত সংযোগ না হওয়ায় চাপ বাড়তে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর। মহম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৮ বলে ১৭ রান করেন হেটমায়ার। ১১.৫ ওভারে ৭০ রানে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ক্যারিবিয়ানদের সমস্যা আরও বেড়ে যায় স্টমাক ক্র্যাম্পের কারণে এভিন লুইস মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়ায়। ২টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৩ বলে ৩৫ রান করে তিনি যখন রিটায়ার্ড হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর তখন ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৬। এরপর নিকোলাস পুরাণ মরিয়া লড়াই চালান। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। চারটি চার ও ছটি ছক্কার সাহায্যে কেরিয়ারের সেরা ৩৩ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন পুরাণ। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫০ রানের বেশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর এগোতে পারেনি পুরাণ ছাড়া বাকি কোনও ব্যাটসম্যানেরই স্ট্রাইক রেট ১০৭ না পেরোনোয়।
We were at the edge of our seats towards the end 😬
— Windies Cricket (@windiescricket) July 31, 2021
Pakistan win by 7️⃣ runs! 🏏🇵🇰#WIvPAK #MissionMaroon pic.twitter.com/Z2TXye4qI4
চার ওভারে ১ মেডেন-সহ ছয় রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন হাফিজ। তিনি বলেন, জানতাম এই উইকেটে স্পিনারদের খেলতে হবে সমস্যা হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সাদাব খানও ভালো বোলিং করেছেন। শেষ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির ইয়র্কারগুলিও ভালো ছিল। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে দিয়েছে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে বোলিং করতে আমি ভালোবাসি। ফলে নিজের লেংথ ঠিক রেখে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার কৌশলে সফল হয়ে বোলার হিসেবে প্রথমবার ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেয়ে তৃপ্ত হাফিজ। আজ গায়ানাতেই তৃতীয় ম্যাচ। মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ম্যাচ। তারপর পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলবে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!