হরিহরপাড়ার কংগ্রেস প্রার্থীর যোগদান তৃণমূলে
এবছর কংগ্রেসের তরফে হরিহরপাড়ায় কংগ্রেস প্রার্থী ছিলে মীর আলমগীর পলাশ। তিনি গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনেই নয়, আগের দুটি নির্বাচনেও পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলে যোগদানের পরে পলাশ জানিয়েছেন, নিজের রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনাকে সামনে রেখে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
অধীরের 'সেনাপতি' হিসেবে পরিচিত
মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে মীর আলমগীর পলাশ অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। অনেকে আবার তাঁকে অধীর চৌধুরীর সেনাপতি হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। এমনই এক নেতার তৃণমূলে যোগদানে কংগ্রেস যে ব্যাপর ধাক্কা খেল তা মনে করছেন অনেকেই। তবে শুধু পলাশই মম, এবার নির্বাচনে পরিচিত একাধিক কংগ্রেস প্রার্থীই তৃণমূলের পথে বলেই সূত্রের খবর।
তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন একঝাঁক কংগ্রেস নেতা
এদিন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন একঝাঁক কংগ্রেস নেতা। সেই তালিকায় রয়েছেন হরিহরপাড়ার নয়টি অঞ্চলের সভাপতি, যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, সহ সভাপতি আব্দুল মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক উৎপল কুণ্ডু, সেবাদল চেয়ারম্যান হাবিবুল রহমান, অন্যতম নেতা শামিম হাসান, আইএনটিইউসি সভাপতি কওসর আলি, অফিস সেক্রেটারি মইনুল ইসলাম। এই যোগদান পর্বের পরে এবার কংগ্রেস প্রার্থী মীর আলমগীম পলাশকে হারানো নিয়ামত শেখ বলেছেন, রাগ-অভিমান ভুলে তাঁরা এক হয়ে গেলেন।
জুলাইয়ে বড় ভাঙন হয়েছিল
জুলাইয়ে বহরমপুর কংগ্রেসে বড় ভাঙন হয়েছিল। বহরমপুর টাউন কংগ্রেসের সভাপতি কার্তিকচন্দ্র সাহা এবং বহরমপুর (পূর্ব) ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আশিস দে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সঙ্গে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। যোগদানকারীরা বলেছিলেন, তাঁদের নিয়ে কংগ্রেসের অহংকার ছিল। তাঁদের জন্য ২০১৯-এ অধীর চৌধুরী বহরমপুরে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু অধীর চৌধুরী এইসব নেতা-কর্মীদের মর্যাদা দেননি। মানুষের স্বার্থে কাজ করতেই তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন বলে জানিয়েছেন। কটাক্ষ করে তাঁরা বলেছিলেন বহরমপুরে শুধু কংগ্রেসের পার্টি অফিসটাই পড়ে থাকবে। অধীর চৌধুরী অবশ্য বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপায়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। দলের কর্মীদের নিয়ে যেমন করোনা আক্রান্ত এবং তাদের পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, ঠিক তেমনই বিনামূল্য সবজি তুলে দিয়েছেন বহু মানুষের হাতে।