শাসক দল নয়! বঙ্গ-বিজেপির নেতারা লড়ছেন একে অপরের বিরুদ্ধে

২রা মে-র ফলাফলের পর বঙ্গ-বিজেপিতে ফাটল বেরিয়েছিল৷ এখন তা ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। বিজেপি বুথস্তরের কর্মীরা আক্রন্ত হচ্ছেন কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব ব্যস্ত একে অপেরে সঙ্গে লড়াই করতে৷ এ যেন মুষলপর্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বিজেপি!

বাবুলকে যা বলেছেন দিলীপ ঘোষ সেটা সঠিক নয় জানালেন তথাগত বাবুলকে যা বলেছেন দিলীপ ঘোষ সেটা সঠিক নয় জানালেন তথাগত

সৌমিত্র বনাম শুভেন্দু!

গত মাসেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় জায়গা না পেয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বঙ্গ বিজেপির অন্যতম বড় মুখ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। শুভেন্দু বারবার দিল্লি গিয়ে দলের বাকি নেতাদের সম্পর্কে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন সৌমিত্র। পাশাপাশি দলে চোর চিটিংবাজ নিয়ে এসে ভরেছেন বলেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছিলেন সৌমিত্র৷ যার উত্তর অবশ্য শুভেন্দু দেননি!

সৌমিত্র বনাম দিলীপ ঘোষ!

ওই একই লাইভে বঙ্গ-বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে সৌমিত্র খাঁ বলেছিলেন, আমাদের (বিজেপির) রাজ্য সভাপতি অদ্ভুত একটা লোক তিনি কিছু বোঝেনও না বুঝতেও চান না! সাংবাদিক সম্মেলনে সৌমিত্রর এই বক্তব্যেরই খোলাখুলি বিরোধিতা করে দিলীপ ঘোষ তাঁকে জোকার বলেছিলেন। পাশাপাশি আরও বলেছিলেন তিনি(সৌমিত্র)যদি এসব প্রলাপ বকা বন্ধ না করে তাহলে তাকে বিজেপির দলের নিয়ম শেখানো হবে৷

বাবুল বনাম দিলীপ!

শেষ একমাসে বঙ্গ বিজেপিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় বোধহয় এটিই। জুলাইয়ে মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি পাননি বাবুল সুপ্রিয়। যেদিন তাঁকে মন্ত্রী থেকে সরানো হয় সেদিন একটি ফেসবুক পোস্টে বাবুল লেখেন, মনখারাপ হলেও সরে যেতে হবে৷ এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওর এসব লেখা একদম ঠিক হয়নি৷ আরও অনেকেই তো মন্ত্রিত্ব থেকে সরেছেন কই তারা তো এরকম লেখেননি! ওঁকে দল থেকে বরখাস্ত করলে কী ঠিক হত!

বাবুল বনাম দিলীপ পার্ট-২

এরপর আবার বাবুল সুপ্রিয় একাধিক ফেসবুক পোস্ট করেন দিলীপ ঘোষও সংবাদমাধ্যমে নিজের দলেরই সাংসদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে থাকেন। সংবাদমাধ্যমে বাবুল নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, কিছু লোক দলের নিয়ম কানুন মানছেন না৷ উনি কী জানেন না ওঁর বক্তব্য বিতর্ক তৈরি করছে! সেই বিতর্ক দলকে সমলাতে হচ্ছে।

এরপরই ফেসবুকে পোস্ট করে সাংসদ ছেড়ে দিয়ে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বাবুল।

অবশ্য এবারেও থেমে থাকেননি দিলীপ বাবু। সংবাদমাধ্যমে তিনি সটান বলে দেন, মাসির গোফ বেরোলে তাকে মেসো বলা হবে কিনা সেটা তখন ভাবা হবে যখন মাসির গোফ বেরোবে। আগে ও লিখিত ইস্তফা দিক৷

এ নিয়েও যথারীতি নতুন করে বিতর্ক হয়েছে৷ বাবুলও নিজে ওই পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ এবং বঙ্গ বিজেপির বিতর্ক চলছেই।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More BJP News  

Read more about:
English summary
Not against the ruling party! Banga-BJP leaders are fighting against each other
Story first published: Sunday, August 1, 2021, 23:15 [IST]