রদ হতে পারে পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত ?
সূত্রের খবর, মিজোরাম পুলিশের তরফে এফআইআর করা হলেও তা জানতেন না মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। আর তাতেই নাকি বেড়েছে জট। এদিন এমনটাই জানান মিজোরামের মুখ্যসচিব লালনুমাভিয়া চুয়াংগো। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি জানতেন না। তিনি আমাকে ব্যাপারটি পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য বলেছেন। আমি পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলব।"
অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং অসমের উচ্চপদস্থ ৬ পুলিশ কর্তা ছাড়াও অসমের শতাধিক পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধেও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে খবর। যা নিয়ে টানাপোড়েন জারি রয়েছে দুই রাজ্যের মধ্যেই। বলপূর্বক আউটপোস্ট দখলের চেষ্টা, নিরীহ মানুষদের অপদস্ত করা, সরকারি কর্মচারীকে কাজে বাধা সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অসম প্রশাসনের তরফে সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে বলে খবর।
আসল ঘটনার সূত্রপাত কোথায় ?
এদিকে সীমান্ত বিরোধের জেরে কয়েকদিন থেকেই উত্তপ্ত অসম ও মিজোরামের বিস্তৃর্ণ এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দা ও অসম পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গত সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠে অসম-মিজোরাম সীমান্ত। এমনকী সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয় অসমের ৬ পুলিশ কর্মীর। আহত হন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের একাধিক রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত বিবাদের ক্ষেত্রে বরাবরই শীর্ষ তালিকায় থেকেছে অসম। এমনকী মিজোরামের সঙ্গে তাদের সমস্যাও দীর্ঘদিনের।
২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
এদিকে গত সোমবার দুই রাজ্যের সীমানায় দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে যে গুলির লড়াই হয়েছিল সেই ঘটনার জেরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে মিজোরাম পুলিশ। আর তাতেই হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ছাড়াও অসমের একজন আইজি, একজন ডিআইজি, একজন পুলিশ সুপার, কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকী একটি অসমর্থিত সূত্রে খবর, অভিযোগ তালিকায় নাম রয়েছে ২০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির।
১ অগাস্ট হাজিরার নির্দেশ
এদিকে অভিযোগ দায়েরের পরেই আগামী ১ আগস্ট মিজোরামের ভাইরেংটে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয় অসমের আধিকারিকদের। আর তারপরেই তা নিয়ো জলঘোলা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। চাপ বাড়তে থাকে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর উপর। বর্তমানে সেই জল এখন কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।