অসম-মিজোরাম সীমান্ত ইস্যুতে ক্রমশ চড়ছে সংঘাত! ইতিমধ্যে মিজোরামে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসম সরকারের তরফে অ্যাডভাইজারি করা হয়েছে। তবে গুলি চালানোর ঘটনাকে ঘিরে এখনও চলছে দুই রাজ্যের মধ্যে দোষারোপ পাল্টা দোষারোপ!
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাংয়ের দাবি, অসম পুলিশ প্রথম মিজোরাম পুলিশকে টার্গেট করে গুলি চালায়। কখনই মিজোরাম প্রথমে গুলি চালায়নি বলেও দাবি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা এবং অমিত শাহের সঙ্গেও এই বিষয়ে তাঁর কথা হয়েছে বলে দাবি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর দাবি, অসমের মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাছে দাবি করেছেন যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমধান হোক। যদি তাই হয় তাহলে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙে ফে বৈঠকে বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন জোরামথাং। অন্যদিকে দুই রাজ্যের সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের আবহে গত কয়েকদিন আগে অসম এবং মিজোরামের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙে বৈঠকে বসেন কেন্দ্র।
অসম এবং মিজোরামের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙে এই বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, সংঘাত এড়াতে দুই রাজ্য অর্থাৎ অসম এবং মিজোরাম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে একমত হয়েছে। জাতীয় সড়কেও আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেণ অসমের মুখ্যসচিব। বিতর্কিত সীমান্তেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে সিদ্ধান্ত।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার চায় দ্রুত সীমান্ত সমস্যার সমাধান হোক। আর তা সমাধান হোক আলোচনার মাধ্যমেই। অন্যদিকে অসম বনাম মিজোরাম সংঘাতের মাঝে এদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্য অসম রাজ্যবাসীর প্রতি একটি অ্যাডভাইসারি জারি করে।
সেখানে সাফ বলা রয়েছে যে, আপাতত দুই রাজ্যের সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে কেউ যেন মিজোরামে ভ্রমণ করতে না যান। ফলে মিজোরামের সঙ্গে সংঘাতের মাঝে অসমবাসীর মিজোরাম ভ্রমণ নিয়ে আপাতত বড় বার্তা দিয়ে রাখল হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্য।
অসম সরকারের ওই অ্যাডভাইসারিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে , বর্তমান পরিস্থিতিতে মিজো সিভিল সোসাইটি সদস্যরা ও মিজোরামেরবহু ছাত্র ইউনিয়ন ক্রমাগত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে যাচ্ছে। যা এই পরিস্থিতিতে অসমের বাসিন্দাদের দিকেই করা হচ্ছে। ফলে সেই দিক থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে অ্যাডভাইসারিতে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের আবহে বেশ ছয় পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মিজোরাম পুলিশ ছোট অস্ত্রের সাহায্যে প্রথমে গুলি চালায়। আর তাতেই মৃত্যু। যদিও এদিন মিজোরাম সরকারের তরফে সেই বক্তব্যে খারিজ করে দেওয়া হিয়েছে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!