দীর্ঘ আলোচনার পর প্যাংগং থেকে চিন সেনা সরালেও লাদাখের বহু জায়গাতে ঘাঁটি গেড়ে বসে চিনের লালফৌজ। একেবারে ভারতীয় সীমান্ত ঘেষে চলছে সে দেশের সেনাবাহিনীর টহলদারি। পাল্টা প্রস্তুতিও চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফেও। আলোচনার রাস্তা খোলা থাকলেও লাদাখে ধীরে ধীরে ফোর্স বাড়াচ্ছে ভারতও।
এই অবস্থায় আজ শনিবার ফের একবার মুখোমুখি ভারত এবং চিন। কমান্ডার পর্যায়ে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারত এবং চিনের দুতরফেই সেনা কর্তার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে ভারত এবং চিনের নিয়ন্ত্রণ রেখার মোল্ডো সীমান্তে এক বৈঠক শুরু হয়। প্রায় নয় ঘন্টা ধরে চলে এই বৈঠক। কার্যত লাদাখের একাধিক অংশে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী। দ্রুত সীমান্ত সমস্যা মেটানো নিয়েই আলোচনা হয় দুদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে।
এর আগে ৯ এপ্রিল একবার সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। এই অবস্থায় ১২ তম বৈঠকে মুখোমুখি ভারত এবং চিন। পূর্ব লাদাখের বিতর্কিত অংশ থেকে সেনা সরাতেই এই বৈঠক। হট স্প্রিং এবং গোগরা পোস্ট নিয়েও দুই দেশের সেনা কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
প্রায় সাড়ে তিন মাস পর ভারত এবং চিনের সেনা কর্তাদের মধ্যে এই বৈঠক হল। তবে ৯ এপ্রিল যে বৈঠক হয় তা প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে চলে। আর তাতেও কোনও সমধান সূত্র বের হয়নি। এবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়। আর এই বৈঠকের দু'সপ্তাহের মধ্যে সেনাস্তরে এই বৈঠক হল।
চিনের বিদেশমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। অন্যদিকে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সেনাস্তরে ভারত এবং চিনের বৈঠকেই দুই দেশের মধ্যে যতটা সম্ভব সমাধানের লক্ষ্যেই আলোচনা করা হবে। দুই দেশই চেষ্টা করবে কীভাবে সর্বসম্মত ভাবে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়।
সূত্রের খবর দুই দেশই নাকি এই লাদাখ ইস্যুতে দীর্ঘ সংকট নিয়ে চিন্তিত। কারণ এতে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে বিশ্বরাজনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করছে। যেটা চিন এবং ভারত দুই দেশের পক্ষেই ভাল হবে না।
তবে এর আগে যতগুলি বৈঠক হয়েছে তাতে শুধু আলোচনাই হয়েছে। কোনও ফল বের হয়নি। নতুন করে শনিবারের বৈঠকের পর সবকিছু বদলে যাবে কিংবা চিনের সেনা সরিয়ে নেবে সে বিষয়ে একেবারেই আশাবাসী নন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!