ক্রিকেট ছেড়ে হাই জাম্পে
ছোটোবেলায় ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতেন ব্র্যান্ডন। তবে দাদার মতো ক্রিকেটের চেয়েও তাঁর বেশি ঝোঁক ছিল ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের প্রতি। লিডকম্বে পাবলিক স্কুলে পড়ার সময়ই তিনি অ্যাথলেটিক্স কেরিয়ার শুরু করেন পাররামাট্টা লিটল অ্যাথলেটিক্সের মাধ্যমে। হিলস স্পোর্টস হাই স্কুলে পড়ার সময় ২০০৯ সাল থেকে তিনি জোর দেন হাই জাম্পে। ২০১০ সালের ইউথ অলিম্পিকে আন্তর্জাতিক আঙিনায় অভিষেকেই ২.১৯ মিটার স্কোর করে জেতেন রুপো।
এগিয়ে চলা
২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে অষ্টম হন ব্র্যান্ডন। এর এক বছরের মধ্যেই নিজের রেকর্ডকে আরও উন্নত করে নিয়ে যান ২.৩০ মিটারে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তা আরও বেড়ে হয় ২.৩১ মিটার। এর সুবাদেই ১৯৯৭ সালে টিম ফরসিথের পর প্রথম অস্ট্রেলীয় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছে যান। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ২.২৯ মিটার স্কোর তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল ফাইনালে। সেখানে পঞ্চদশ স্থান দখল করেন। ২০১৭ সালে পায়ে চোট পেয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। রিওর পর তাঁর সেরা স্কোর ছিল ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসের ট্রায়ালে ২.২৮ মিটার। কেরিয়ারের সেরা ২.৩২ মিটার স্কোর কমনওয়েলথ গেমসে তাঁকে সোনা এনে দেয়।
নজরে পদক
ওই বছরই জার্মানিতে ৩ ইঞ্চিরও বেশি লাফ দিয়ে নিজের রেকর্ডকে ২.৩৬ মিটারে নিয়ে যান ব্র্যান্ডন। যা বিগত ২১ বছরের মধ্যে অস্ট্রেলীয় হিসেবে সেরা লাফ ছিল, বিশ্বরেকর্ডের তালিকায় যুগ্মভাবে তিনি চলে আসেন তৃতীয় স্থানে। এরপর ২০১৮ সালে ডায়মন্ড লিগ ফাইনাল জেতার পর কন্টিনেন্টাল কাপও জিতে নেন মিচেল স্টার্কের ভাই। ২০১৯ সালে চোটের কারণে হাই জাম্পের সময় দুই কদম কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। চলতি বছরে চতুর্থ জাতীয় হাই জাম্প খেতাব জিতে, ২.৩৩ মিটার স্কোর করে তিনি অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পান। টোকিও অলিম্পিকের বি গ্রুপ থেকে তিনি হাই জাম্পের ফাইনালে পৌঁছেছেন ২.২৮ মিটার লাফ দিয়ে। নজর এখন সেরাটা দিয়ে পদকের লাফের দিকে।