হিমাচলে ভয়ঙ্কর ভূমি ধস
আস্ত পাহাড় যেন গ্রাস করতে নেমে আসছে। মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল রাস্তা। হিমালয়ের কেলো ভয়ঙ্কর এক রুদ্ররূপ নিয়ে হাজির প্রকৃতি। বিধ্বংসী তার রূপ। হিমাচল প্রদেশের সিরমৌর এলাকায় পাহাড়ের বাঁক কেটেই তৈরি হয়েছে রাস্তা। এভাবেই রাস্তা তৈরি হয় পাহাড়ি এলাকায়। প্রবল বৃষ্টিতে মাটি এতটাই আলগা হয়ে হিয়েছিল যে ধস নেমে সম্পূর্ণ রাস্তাটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তার আর কোনও কিছু নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে কয়েক মিনিট আগে পর্যন্ত একটা রাস্তা উঠে এসেছিল। অর্ধেক পাহাড় ধসে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে সেই রাস্তা।
|
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
হিমাচল প্রদেশের সেই ধসের ভিডিও ক্যামেরা বন্দি হয়েছিল। সেটা সোশ্যাল মিিডয়ায় শেয়ার করে লেখা হয় প্রকৃতির প্রতিশোধ। প্রকৃতি রুষ্ট হয়ে তার রুদ্ররূপ দেখাচ্ছে। হ্যাশট্যাগে লেখা হয় ল্যান্ড স্লাইজ,হিমাচল প্রদেশ। কংগ্রেেস নেতা শ্রীনিবাস বিভি সেই ভিডিওটি শেয়ার করেন। তারপরেই প্রায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেটি। নেটিজেনরা হু হু করে গ্রাস করতে শুরু করে দেন ভিডিও টি। সকলের একটাই রিঅ্যাকশ ভয়ঙ্কর। বিধ্বংসী সেই দৃশ্য। টুইটারে ট্রেন্ডিং হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিও।
অতঙ্কিত নেটিজেনরা
অনেকেই ভিডিও দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কমেন্ট করতে শুরু করেন কেউ আর যাবেন না হিমাচল প্রদেশে। অনেকে আবার লিখেছেন একেবারেই পাহাড়ে যাওয়া উচিত নয়। আরেক জন ইউজার আবার লিখেছেন এই বর্ষায় তো একেবারেই হিমাচল প্রদেশে যাওয়া উচিত নয়। পর্যটন দফতরের উচিত সচেতন করা কোন জায়গা বিপজ্জন আর কোন জায়গা নিরাপদ। একজন ইউজার আবার লিখেছেন, হিমালয় এখন আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত কয়েকদিন হিমাচল প্রদেশে একের পর এক বিপর্যটের ঘটনা ঘটেছে। ধরমশালায় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের ভয়ঙ্কর দৃশ্য সকলেই দেখেছেন। তারপরেই ব্রিডের উপর বোল্ডার গড়িয়ে পড়ে প্রায় ৯ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে এই হিমাচল প্রদেশে। পর পর দুর্ঘটনায় হিমাচল প্রদেশ নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে।
পর্যটকদের ঢল
পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে পাহাড়ে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের সংক্রমণ একটু কমতেই হুড়মুড়িয়ে পর্যটকরা ভিড় করেছেন হিমাচল প্রদেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। সিমলা, মানালি, ধর্মশালা সহ একাধিক জায়গায় ভিড় উপচে পড়তে শুরু করেছিল। সিমলায় মাস্ক ছাড়াই পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। শুধু সিমলা নয়, কেমটি ফলস, রোটাং পাসেও পর্যটকদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তারপরেই হিমাচল প্রদেশ সরকারকে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাগাম ছাড়া ভিড় ভের করোনা সংক্রমণ বাড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন তিনি। তারপরেই তৎপর হয় হিমাচল প্রদেশ সরকার। সপ্তাহান্তে হিমাচল প্রদেশে প্রবেশে নিেষধাজ্ঞা জারি করা হয়। কেমটি ফলসে প্রবেশের ক্ষেত্রেও ৫০ জনের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে হিমাচল প্রদেশে।