অসম সরকারের অ্যাডভাইসারি
অসম বনাম মিজোরাম সংঘাতের মাঝে এদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্য অসম রাজ্যবাসীর প্রতি একটি অ্যাডভাইসারি জারি করে। সেখানে সাফ বলা রয়েছে যে, আপাতত দুই রাজ্যের সীমান্ত সংঘাতের মধ্যে কেউ যেন মিজোরামে ভ্রমণ করতে না যান। ফলে মিজোরামের সঙ্গে সংঘাতের মাঝে অসমবাসীর মিজোরাম ভ্রমণ নিয়ে আপাতত বড় বার্তা দিয়ে রাখল হিমন্ত বিশ্বশর্মার রাজ্য।
রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর কী জানাল সরকার?
অ্যাডভাইসারিতে অসম সরকার সাফ জানিয়েছে যে , অসমবাসীর ব্য়ক্তিগত নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা নিতে তারা বাধ্য হচ্ছে। একই সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জানান দিয়েছে যে জুলাই মাসের ২৬ তারিখে কীভাবে রক্তক্ষয়ী সংঘাত হয়েছে ওই সীমান্তে। যার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে অসমের ৬ জন পুলিশ কর্মী নিমেষে প্রাণ হারিয়েছেন। এরই সঙ্গে অ্যাডভাইসারিতে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে সংঘাতে শুধু পুলিশ বনাম পুলিশ লড়াই হয়নি, তাতে সংযুক্ত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে মিজোরাম ভ্রমণ বিপজ্জনক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মিজোরাম নিয়ে সতর্কবার্তা
অসম সরকারের ওই অ্যাডভাইসারিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে যে , বর্তমান পরিস্থিতিতে মিজো সিভিল সোসাইটি সদস্যরা ও মিজোরামেরবহু ছাত্র ইউনিয়ন ক্রমাগত উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে যাচ্ছে। যা এই পরিস্থিতিতে অসমের বাসিন্দাদের দিকেই করা হচ্ছে। ফলে সেই দিক থেকে সতর্কতা অবলম্বন করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে অ্যাডভাইসারিতে।
মিজোরােমে মানুষের হাতে অস্ত্র ?
অসম সরকারের তরফে জারি করা অ্যাডভাইসারিতে সাফ জানানো হয়েছে যে , মিজোরামের বহু মানুষ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন। এমন বেশ কিছু অপত্তিকর ভিডিও অসম সরকারের পুলিশের হাতে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মিজোরামের সাধারণ মানুষের হাতে উঠে এসেছে অস্ত্র। তাঁদের হাতে রয়েছে অস্ত্র। এই পরিস্থিতিতে অসমের কোনও বাসিন্দারই মিজোরাম ভ্রমণ যে নিরাপদ নয়, তা জানান দিয়েছে অসম সরকারের নয়া অ্যাডভাইসারি।
অসমে এই মুহর্তে কেমন পরিস্থিতি?
এদিকে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে যে, অসম ও মিজোরামের সীমান্তে আপাতত পরিস্থিতি অত্যন্ত শান্ত। যে এলাকা দখল নিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে সংঘাত ছিল , তা আপাতত শান্ত পরিস্থিতিতে রয়েছে। প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ আপাতত নিজের রাজ্যের ভিতর ১০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে। দুই তরফেই এলাকা টহল দেওয়া হচ্ছে।