আগামী সপ্তাহেই হতে পারে শুনানি
এবার তাদের আবেদনেই সাড়া দিল শীর্ষ আদালত। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই তাঁদের আবেদন শুনতে পারে শীর্ষ আদালত। এদিকে জনস্বার্থ মামলা করার পাশাপাশি দুই সাংবাদিকেরই দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে পেগাসাস কাণ্ডের তদন্ত হোক। অবশেষে এদিন তাদের সেই আর্জি গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত।
কী বললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ?
অন্যদিকে আগামী সপ্তাহে শুনানি শুরু কথা এদিন নিজে জানান এমনটাই জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। তিনি বলে, " পেগাসাস মামলাটি আমরা আগামী সপ্তাহে শুনতে পারি। তবে পুরো বিষটিই নির্ভর করছে সেই সময় কাজের চাপ কতটা থাকছে তার উপর।" এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরেই যা নিয়ে জোরদার চাপানৌতর শুরু হয়েছে দিল্লির রাজ্য-রাজনীতিতে।
আড়ি পাতছে বিজেপি সরকার ?
এদিকে ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে বিভিন্ন মহল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে স্বাধীন তদন্তের দাবি করা হচ্ছিল। সরব হয়েছিল একাধিক ছোট-বড় বিরোধী দল। কিন্তু চাপের মুখে পড়েও নতিস্বীকার করেনি কেন্দ্র। যদিও অভিযোগ এই ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার-এর মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতছে বিজেপি সরকার।
মাঠে নেমেছেন মমতা
এমনকী পেগাসাসের নিশানায় রয়েছে রাহুল গান্ধীর মতো বিরোধী নেতাও। নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোরেরও। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তাল সংসদ। সংসদের ভিতরে-বাইরে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন তাঁরা। এমনকী পেগাসাস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার কথা বলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
চাপে কেন্দ্র
এদিকে পেগাসাস কাণ্ড ব্যক্তি স্বাধীনতায় বড়সড় আঘাত বলে ব্যক্ত করেছেন সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী দুই সাংবাদিক। আর ঠিক সেই কারণেই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন বলে জানান তারা। অন্যদিকে রাজ্য স্তরে তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে দুই বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গড়েছে মমতার সরকার। এমতাবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণে যে কেন্দ্রের উপর নতুন করে চাপ বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।