গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে সরছে নিম্নচাপ
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫৮.৮ মিলিমিটার। সুস্পষ্ট নিম্নচাপ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর ছিল, তা পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের উপর অবস্থান করছে এখন। পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঝাড়খণ্ড হয়ে দক্ষিণ বিহার ও উত্তরপ্রদেশের দক্ষিণ অংশে পৌঁছবে। এর ফলে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে কোন জেলায় কেমন বৃষ্টি
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও বীরভূমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গের এই চার জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাতেও। শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। বাড়বে তাপমাত্রাও।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে, কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি ক্রমশ বাড়বে। শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই কমলা ও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি- উপরের দিকের এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টি বাড়বে।
বৃষ্টি বাড়বে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্যে
সুস্পষ্ট নিম্নচাপ এবং মৌসুমী অক্ষরেখার প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে ওড়িশা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে। শুক্র ও শনিবার প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা ঝাড়খণ্ডে। শনিবার ছত্রিশগড় এবং রবিবার মধ্যপ্রদেশে প্রবল বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন বিহারে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। মধ্যপ্রদেশ ও ছত্রিশগড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
জল ছাড়বে জলাধার, বাড়বে বাংলার নদীর জলস্তর
ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির ফলে জলাধার থেকে জল ছাড়বে। ফলে বাংলার নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের আগামী ২৪ ঘণ্টা সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
টানা তিন দিন প্রবল বর্ষণে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে
টানা তিন দিন প্রবল বর্ষণে ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। ৪৭,৬০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত ও মাইথন ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে। পাঞ্চেত ড্যাম থেকে ২২,০০০ কিউসেক এবং মাইথন থেকে ১২,০০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। তবে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। কারণ ঝাড়খণ্ডে আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দামোদরের জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে বন্যা পরিস্থিতি
দুর্গাপুরের দামোদর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে। এমনিতেই তিন দিনের বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়ার বেশ কিছু অঞ্চল জলমগ্ন হয়েছে। দামোদরের জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়লে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মর্মে রাজ্যের প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।