জলস্তর নামাতে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগ
রাতভর বৃষ্টিতে রীতিমতো নাকাল কলকাতার জনজীবন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত লকগেট খোলা রেখেছিল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার তরফে দাবি,বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যদি ২০০ মিলিমিটারের মধ্যে থাকে, তাহলে জল নামানো কিছুটা সহজ হয়। এদিকে, জানা গিয়েছে, শহরের জলমগ্ন রাস্তা সাফ করতে ৪৫০ টি পাম্প এই মুহূর্তে চালানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে কলকাতা পুরসভা।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কতজন?
এদিকে জানা গিয়েছে , প্রবল বৃষ্টিতে কলকাতার একাংশ বিপর্যয়ে পড়তেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। সেক্ষেত্রে আলিপুর আদালতের দুই আইনজীবী সহ ৩ জন জমা জলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়েছেন বলে খবর। এছাড়াও কলকাতার জোড়াবাগানে একজন বৃদ্ধা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
শহরের কোন কোন জায়গায় জমল জল?
রাতভর বৃষ্টির জেরে শহরের একাধিক রাজপথ জলমগ্ন। সকাল থেকেই বহু ক্ষেত্রে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছেন। ঘোর বর্ষায় কলকাতার ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, লালবাজার, মুক্তরামবাবু স্ট্রিট, এমজি রোড, গণেশ চন্দ্র এভিনিউ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ জলমগ্ন। অন্যদিকে, প্রতিবারের মতো এবারও জলের নিচে বেহালার একাংশ, এদিকে খিদিরপুর, আহর্মস্ট স্ট্রিট, ট্যাংরা, আলিপুর রয়েছে জলের তলায়।
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
ইতিমধ্যেই জলযন্ত্রণা নিয়ে রাজ্যের একাধিক জেলার জন্য লালা সতর্কতা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে, সপ্তাহের মধ্যভাগে টানা বর্ষণে নাকাল রাজ্য। অন্যদিকে, জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে দুপুর পর্যন্তই শুধুমাত্র ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকাল হতেই দলমগ্ন রাস্তা পেরিয়ে অফিস যেতে ভোগান্তির মুখোমুখি অফিস যাত্রীরা।