তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে ঢুকল পুলিশ! অভিষেকের সফরের আগেই আগাম জামিন আইপ্যাকের কর্মীদের

রাজ্যের বাইরেও সংগঠনকে মজবুত করতে ময়দানে নেমেছে শাসক তৃণমূল। আর প্রথমেই নজর ত্রিপুরাতে। লোকসভা ভোটের আগে ২০২৩ সালে ভোট সে রাজ্যে। আর সে লক্ষ্যেই এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। কিন্তু শুরুতেই একের পর এক ধাক্কা। ভোট-সমীক্ষার কাজে গিয়ে গৃহবন্দি ভোট কৌসুলি প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা।

আগরতলার একটি হোটেলে ২৩জন কর্মীকে আটক রাখা হয়। যদিও আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে সে রাজ্যের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। ত্রিপুরাতে করোনা পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ। এই অবস্থায় সেখানে কাজ করতে যান আইপ্যাকের কর্মীরা।

আর সে রাজ্যে পা রাখা মাত্রা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করা হয়। আর এরপরেই আইপ্যাক-এর ২৩ জন কর্মী আদালতে এদিন উপস্থিত হন। আগাম জামিনের জন্যে আবেদন রাখেন। আদালত তা মঞ্জুর করে। কর্মীদের আটক করা হয়েছে এই খবর মমতা বন্দ্যোপাধায়ের কাছে পৌঁছানো মাত্র ত্রিপুরাতে পাঠানো হয় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, ব্রাত্য বসু এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়কে।

বুধবার সেখানে তাঁরা পৌঁছলে তাঁদেরও প্রথমে আটকানো হয়। বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। যদিও দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁদের ছাড়া হলেও ও হোটেলে আটক কারোর সঙে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে সুর চড়ান ব্রাত্য বসু। বলেন, ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।

এই অবস্থায় আজ সে রাজ্যে পৌঁছন ডেরেক ও ব্রায়েন। এই অবস্থায় ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার সাংগঠিক বৈঠক ছিল। ক্রমশ সে রাজ্যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করত চাইছে তৃণমূল। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করছে।

কিন্তু আজ বৈঠক শুরু হওয়ার আগে সেখানে পৌঁছে যায় ত্রিপুরা পুলিশের বিশাল বাহিনী। কীসের বৈঠক, কেন বৈঠক সমস্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় পুলিশের তরফে। এই ঘটনাতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। ব্রাত্যের কথায়, আমরা কি জঙ্গি?

শুধু তাই নয়, শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, 'জুলুমবাজির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এবার ত্রিপুরায় মানুষ কাজ চাইছে। ত্রিপুরার সরকার তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে বলেও মন্তব্য তাঁর।

আগামিকাল শুক্রবার ত্রিপুরাতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধায়। এমনটাই সূত্রের খবর। বাংলার পর ত্রিপুরা টার্গেট তৃণমূলের। সামনেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার সে রাজ্যে সংগঠনকে মজবুত করতে চায় তৃণমূল। আর সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে সে রাজ্যে খেলা হবে স্লোগান উঠতে শুরু করেছে। অভিষেকের এই সফরে একাধিক সে রাজ্যে নেতাদের সঙে বৈঠক হতে পারে বলে খবর। আঞ্চলিক পার্টিগুলির সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে বলে খবর। এমনকি রাজনৈতিকমহলের জল্পনা, বিদ্রোহী মুকুল ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায় বর্মণের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন অভিষেক।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More PRASHANT KISHOR News  

Read more about:
English summary
police enters tmc meeting at tripura, ipac members get bail