নতুন করে সংক্রমণ ব্রিটেনে!
ব্রিটেনে সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু হওয়া মাত্রই দেখা যাচ্ছে থাবা বসাচ্ছে ডেল্টা স্ট্রেন৷ তুলনামূলক তরুণ ব্যক্তিদের শরীরে দীর্ঘকাল ধরে ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। আফ্রিকায় আবার টিকাকরণের গতি স্লথ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা।
সংক্রমণ বাড়ায় দর্শকহীন অলিম্পিক!
জাপানের অবস্থা সকলেরই জানা। সেদেশে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়ায় অলিম্পিক্স অবধি দর্শকহীন স্টেডিয়ামে আয়োজিত হচ্ছে।
সহ্য করতে হবে লেজের ঝাপটা!
সবমিলিয়ে গোটাবিশ্বের মানুষ বুঝতে পারছে যে কোভিড সহজে পিছু ছাড়বে না। যাওয়ার আগে লেজের ঝাপট সহ্য করতে হবে সকলকে। বিশেষত যে সমস্ত জায়গায় টিকাকরণের গতি স্লথ। সেই সমস্ত অঞ্চলে দেরিতে সুস্থ হবে মানুষ, মৃতের সংখ্যাও বাড়বে৷
করোনার প্রভাব অর্থনীতিতেও!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের মতো দেশে আবার অর্থনৈতিক মন্দা দেখা যাবে এর জেরে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণের লেখচিত্র দেখলেই স্পষ্ট হচ্ছে বিষয়টা। দেশটির যে সমস্ত প্রদেশে গণ টিকাকরণ হয়েছে সেখানে সংক্রমণ, মৃত্যুর হার অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম। ব্রিটেনে আবার টিকাকরণ হওয়া সত্ত্বেও বেড়েছে সংক্রমণ। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে সেখানে কমেছে মৃতের সংখ্যা৷
টিকাকরণই একমাত্র পথ
অর্থাৎ, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে টিকাকরণ যে অন্যতম হাতিয়ার তা বোঝাই যাচ্ছে। আর ঠিক এই কারণেই তুলনামূলকভাবে দরিদ্র দেশগুলি সমস্যায় পড়ছে৷ গোটা বিশ্বে ভ্যাকসিনের সমবন্টনের জন্য কোভ্যাক্স নামক একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এখনও অবধি তাতে মাত্র ১৪০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা গিয়েছে। উদ্যোগ অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরুতেই ১.৮ বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভারত দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় নাজেহাল হওয়ায় ভ্যাকসিন বণ্টনের এই উদ্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷