টোকিও অলিম্পিকে আজই অভিযান শুরু করেছেন ভারতের দুই গল্ফার অনির্বাণ লাহিড়ি ও উদয়ন মানে। তবে মহিলা গল্ফারদের অভিযান শুরু অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার গল্ফারের নাম প্রত্যাহারেই টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার দরজা এবার খুলে গেল হরিয়ানার ঝাজ্জরের দীক্ষা দাগরের সামনে। আগেই অলিম্পিকের টিকিট পেয়ে গিয়েছেন অদিতি অশোক।
(ছবি- দীক্ষা দাগরের ইনস্টাগ্রাম)
ইন্ডিয়ান গল্ফ ইউনিয়নের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল গল্ফ ফেডারেশন বার্তা পাঠিয়েছে, রিজার্ভ তালিকায় থাকা দীক্ষা অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবেন। এর ফলে দীক্ষা এক অনন্য নজিরও গড়তে চলেছেন। ২০১৭ সালে বধিরদের অলিম্পিকে অংশ নিয়ে রুপোজয়ী বাঁহাতি গল্ফার দীক্ষা এবার অলিম্পিকে নামার সুযোগ পেলন। অদিতির কাছে এটি দ্বিতীয় অলিম্পিক হলেও টোকিও অলিম্পিকেই দীক্ষার অলিম্পিক অভিষেক হতে চলেছে। বধিরতার সমস্যার কারণে ছয় বছর বয়স থেকে তাঁকে শ্রবণ-যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়। সাত বছর বয়স থেকে গল্ফ শিখছেন। তাঁর ভাইয়েরও দিদির মতো শ্রবণ-সমস্যা রয়েছে। দীক্ষা কোচিং নিয়েছেন তাঁর বাবা নরিন্দর দাগরের কাছে, যিনি নিজে স্ক্র্যাচ গল্ফার ছিলেন এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পলা রেতো নাম প্রত্যাহার করেছেন এবং অস্ট্রিয়া কোনও গল্ফার পাঠানোর সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দীক্ষার সামনে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ এল শেষ লগ্নেই। আইজিইউ-এর তরফে তাঁকে তড়িঘড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসেও অংশ নিয়েছিলেন দীক্ষা। ২০১৯ সালে পেশাদার গল্ফে আসার পর থেকে মহিলাদের ইউরোপীয় ট্যুরে একটি দলগত ইভেন্ট-সহ দুটি খেতাবও জিতেছেন ২০ বছর বয়সি এই গল্ফার। অদিতি অশোকের পর দ্বিতীয় ভারতীয় গল্ফার হিসেবে তিনি লেডিজ ইউরোপিয়ান ট্যুরে নামেন। বয়সের দিক দিয়েও সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় মহিলা হিসেবে ১৮ বছর বয়সে এই নজির গড়েন দীক্ষা।
দীক্ষা আয়ারল্যান্ডে একটি আমন্ত্রণী গল্ফ প্রতিযোগিতায় নামতে চলেছিলেন, তাঁর আগেই পেলেন সুখবর। আইওএ-ও অ্যাক্রিডিটেশন ও টোকিও যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করছে। দীক্ষাকে নিভৃতবাসের কঠোর বিধিনিষেধও মানতে হবে না। তবে তাঁর পিতা নরিন্দর দাগর, যিনি তাঁর কোচ এবং ক্যাডির ভূমিকাতেও থাকেন, তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তিনিও মেয়ের পাশে থাকবেন টোকিওতে। গত বছর নির্ধারিত সময়ে অলিম্পিক হলে প্রথম ৬০ জনের মধ্যেই ছিলেন দীক্ষা।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!