সম্প্রতি উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে এক সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা শোনা যায়। একটি বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে খবর। আর তাতেই ৯ জন চিনা নাগরিক-সহ প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৩ জন। এদিকে তারপর থেকেই চিন-পাকিস্তান দুদেশেই চাপানৌতর বাড়ছিল। এমতাবস্থায় বুধবার করাচিতে ফের অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিরা গুলি চালালো দুই চিনা নাগরিকের উপর।
সূত্রের খবর, এদিন সকালে দুই অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারী মোটরসাইকেলেই হামলা চালায় দুই চিনা নাগরকিরের উপর। পুরনো শত্রুতা নাকি অন্য কোনও কারণে সেই বিষয়ে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। তবে দুই চিনা নাগরিককেই করাচির সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে আগের ঘটনায় চিনের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হলেও এবার এই হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করছে বেজিং।
অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুবাজের হামলা সম্পর্কে সম্প্রতি বিবৃতি দিতে দেখা যায় চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ানকে। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমাদের পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চিনা নাগরিকের সুরক্ষা এবং পাকিস্তানে চিনের সম্পত্তি দেখভালের বিষয়ে পূর্ণ আস্থা রয়েছে।" এদিকে সপ্তাহ দুয়েক আগে বাস বিস্ফোরণের ঘটনায় ন'জন চিনা নাগরিকের মৃত্যুর পাশাপাশি ২৮ জন চিনা নাগরিক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এছড়াও দু'জন পাকিস্তানি সেনা ও দু'জন স্থানীয়েরও মৃত্যু হয়।
আর তারপরেই সেদেশে থাকা চিনা নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পাকিস্তানকে কড়া বার্তাও দেওয়া হয় চিনের তরফে। এদিকে সপ্তাহ দুয়েক আগে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে বিস্ফোরণের আগেই এপ্রিলেও চিনা নাগরিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে পাকিস্তানে। চলতি বছরের এপ্রিলে দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই হোটেলেই কিছুদিন আগে ছিলেন চিনা রাষ্ট্রদূত। ওই হামলায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়ায় যায়।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!