আফগানিস্তান নিয়ে কয়েকদিন আগেই নিজস্ব নীতি ঠিক করেছে বর্তমান সময়ের সবথেকে ভালো 'বন্ধু’ চিন-পাকিস্তান। এমনকী ভারতে চাপে রাখতেও নেওয়া হয়েছে একাধিক কৌশল। এদিকে আফগানিস্তানে তালিবানেদের সাহায্যের জন্য ইতিমধ্যেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে পাকিস্তান। এবার চিনের থেকেও সাহায্য চাইলেন আফগানিস্তানের তালিবান নেতারা।
সূত্রের খবর, ২৭ জুলাই আফগানিস্তানের শীর্ষস্থানীয় তালিবান নেতা মোল্লা বড়দার আখুন্ডের সঙ্গে বৈঠক সারেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। যা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে আন্তর্জাতিকর রাজনৈতিক মহলে। এমনকী ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের সাথে সাথে আফগানিস্তানে তালিবান আগ্রাসন ঠেকাতে ইতিমধ্যেই ভারতের সাহায্য চেয়েছে আমেরিকা। ভারত সফরেও এসেছেন নয়া মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনিও ব্লিনকেন। কিন্তু এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি চিন সরাসরি তালিবানদের সাহায্য করলে পরিস্থিতি যে সহজেই হাতের বাইরে চলে যা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উইঘুরু মুসলিমদের উপর নির্মম অত্যাচারের কারণে ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বের কাছেই তুমুল সমালোচনার মুখে বড়েছে বেজিং। এমনকী সেদেসে উইঘুরু আন্দোলন নিয়ে চাপে চিনের কমিউনিস্ট সরকার। এমনকী তাদের এও আশঙ্কা আগামীতে আফগানিস্তারে মাটি ব্যবহার করেই নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে উইঘুরু অধিকার রক্ষা আন্দোলন। সেই বিষয়েও শীর্ষ তালিবান নেতা মোল্লা বড়দার সঙ্গে কথা বলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রী।
অন্যদিকে, পাল্টা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তালিবানেরা। তবে রয়েছে শর্তও। যদি তাদের সরকার তৈরি হয় তাহলে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কোনও তৃতীয় শক্তি বা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না তালিবানেরা, প্রতিশ্রুতি মিলেছে এমনটাও। তবে শর্ত হিসাবে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলে সর্বত ভাবে সাহায্য করতে হবে চিনকে। আর চিন যদি এই প্রস্তাব মেনে নেয় তবে আফগানিস্তান যে ক্রমেই এই উগ্রপন্থী সুন্নি গোষ্ঠীর স্বর্গরাজ্য হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের ৮০ শতাংশ এলাকা দখল করেছে তালিবানেরা, খবর সূত্রের।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!