জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
এখনও পর্যন্ত কমলনাথ, মনু সিংভির মতো নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোটের লক্ষ্যে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তবে বিরোধী শক্তিকে একজোট করার চেষ্টা করলেও প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কোনও মতামত দেব না
আজ বুধবার তিনি বলেন, বিরোধী জোট থেকে যে কেউ প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হতে পারেন! আমি এই বিষয়ে কোনও মতামত দেব না। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, বিরোধীদের ক্ষেত্রে রাস্তা খোলা রাখতেই তাঁর এই বক্তব্য!
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মুখ কে হবেন?
যদিও আজ সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে যাওয়ার আগে দলের সংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন-সহ দলের লোকসভা ও রাজ্যসভা সাংসদেরা। সেই বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মুখ কে হবেন? সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধায়ের নাম উঠে আসে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামীদিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেতে চাই।
মমতা বন্দ্যোপাধায়ই বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের প্রধান মুখ
শুধু তাই নয়, সাংসদ আরও বলেন, এটা মেনে নিতে কোনও সমস্যা নেই যে এই মুহূর্তে গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধায়ই বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের প্রধান মুখ। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপি-কে হঠানো সম্ভব। এমনটাই দাবি তৃণমূল সাংসদের। একই সঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধায় আরও জানিয়েছেন যে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সমস্ত সাংসদরা এই বিষয়ে একমত। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধায়ের নেতৃত্বেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে উৎখাত করতে চাই, সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন শ্রীরামপুরের এই সাংসদ।
টার্গেট দিল্লি থেকে মোদীকে হঠানো
তবে মোদী উৎখাতের ডাক দিয়ে বিরোধীদের একজোটের ডাক দিলেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। এক সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী কে হবে সে পরে ঠিক হবে। কিন্তু তাঁর টার্গেট দিল্লি থেকে মোদীকে হঠানো। কার্যত আজও বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবে সে বিষয়টিকে জিউয়ে রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রেন্ডিং আব কি বার দিদি সরকার! শুধু তাই নয়, দিল্লিতে এয়ার বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী! এমন দাবিও উঠতে শুরু করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কোন পথে জোট তা অবশ্য ভবিষ্যৎ বলবে।